লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক গবাদিপশু মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
৩০ মে শুক্রবার বিকেল থেকে ৩১ মে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদী তীরবর্তী নবীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও নাসিরগঞ্জ এলাকায় খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের ফেরি-লঞ্চসহ ছোট নৌযানগুলো। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুতের লাইনের উপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায়ও নেই অনেকেই।
স্থানীয়রা জানান, কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকার তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
রামগতি উপজেলার বড়খেরী এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন, রাহেলা বেগমসহ কয়েকজন জানান, টানা বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারের পানি প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ এবং ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তারা। দুই শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
কমলনগর উপজেলার কালকিনি এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম, নাসিরসহ কয়েকজন জানান, মেঘনার পানিতে তারা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাঁস-মুরগি এবং গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গৃহস্থালির রান্নার কাজেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। পাশাপাশি ২৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available