• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বিকাল ০৩:৩৫:৫৪ (01-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বিকাল ০৩:৩৫:৫৪ (01-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে, মিলছে না শ্রমিক

৩০ মে ২০২৫ বিকাল ০৫:৫৬:৪৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে, মিলছে না শ্রমিক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে বেশকিছু এলাকার পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে। প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা হলেও বাকি ধান নিয়ে বিপদে পড়েছেন কৃষক। শ্রমিক মিলছে না। ধান থেকে চারা গজিয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে হাঁটু পানিতে নেমে অনেকেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন।

চলতি মাসে মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ২৫৮ মিলি বৃষ্টি রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে গত ২৫ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত ১৬০ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। এতে মাঠের ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেটে রাখা ধান জমির আইলে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। অনেকেই রাস্তার পাশে উঁচু জায়গায় স্তূপ করে রেখেছেন মাড়াইয়ের জন্য। কাঙ্ক্ষিত রোদ না ওঠায় মাড়াই বা শুকানো যাচ্ছে না। স্তূপ করা ধানে চারা গজিয়ে গেছে।

এ সময় কৃষক এনায়েত উল্লাহর জানান, চলতি মৌসুমে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। ক্ষেতের পাশে স্তূপ করে রাখা অনেক ধান ভেসে গেছে। তিনি তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। সব ধান তলিয়ে গেছে। শ্রমিক না পেয়ে নিজেই তিন দিন ধরে ধান কাটছেন। কাটা ধানের ৬০ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।

নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার কৃষক বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, আবহাওয়া ভালো না বলে মাঠ থেকে ধান নেওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকও বেশি বেশি মজুরি চাচ্ছেন। ধান দিয়ে এবার লাভ দূরে থাক, উৎপাদন খরচ তোলাই কষ্টকর হবে।

কৃষক আদেশ্বর জানান, পাঁচ বিঘা বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। ফলন ভালো হয়েছিল। বেশির ভাগ ধান কেটে জমিতে আঁটি বেঁধে রেখেছিলাম। তিন দিনের বৃষ্টিতে সব শেষ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর। জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইলসহ দেশি জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় চার হাজার হেক্টর কম জমিতে ধানের আবাদ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ধান বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতার আশায় বুক বেঁধেছিলেন কৃষক। এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে সেই আশা ভঙ্গ হয়েছে। ধান এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মালিক মুনজের আলম মানিক জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁর জমিতে উন্নত জাতের ধান আবাদ করেছেন। বেশির ভাগ ধান বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছীন আলী বলেন, ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। তাই কৃষকের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। তিনি স্তূপ করা ধান খোলা জায়গায় রেখে শুকিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে চারা গজাবে না। এর মধ্যে আবহাওয়া ভালো না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত ধান থেকে বীজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ