লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২১ মে বুধবার দিবাগত রাতে পুশইন করেছে ভারত। পুশইনের শিকার শিশুসহ ২০ জনকে আটকের পর প্রথমে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প, পরে পাটগ্রাম থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটকদের মধ্যে সাত শিশু ও এগারো জন নারী ও ২ জ পুরুষ রয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত এলাকার ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা পাটগ্রাম থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে পুশইন হয়ে দেশে ঢোকার পর তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে হেঁটে পাটগ্রামের দিকে যেতে শুরু করেন। তবে স্থানীয় নতুন বাজারে পৌঁছলে বাজারের লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটকে পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেন।
আটকদের বরাতে স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই সীমান্ত দিয়ে শুধু ২০ জন নয় গতরাতে দুই দফায় অন্তত ৫০ জন বা তারও অধিক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। যাদের অনেকেই পুলিশ ও বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
আটকদের মধ্যে আদরী, সীমা ও শাহানা জানান, ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৪ হাজার অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিকে আটক করেছে সেদেশের পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৮৬ জনকে
আহমাদাবাদ বিমান বন্দর থেকে বুধবার বিকেলে একটি বিমানে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমান বন্দরে আনা হয়। এরপর তাদেরকে ১৫ থেকে ২০ জন করে কয়েকটি গাড়িতে তুলে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available