কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কলার ভিতরে চেতনানাশক খাইয়ে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
১৬ মে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া পল্লী চিকিৎসক বারেক শাহ (৫০) উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের বাদল শাহের ছেলে। তিনি নিজবাড়ি থেকেই পল্লী চিকিৎসার কার্যক্রম করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী মাস দুয়েক হল পল্লী চিকিৎসক বারেক শাহের বাড়িতে গৃহ পরিচালিকার কাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিলোনা। সে সময় চিকিৎসক কলার ভিতরে চেতনানাশক প্রয়োগ করে খেতে দেন এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সময় স্থানীয় এক মহিলা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন সঙ্গে- সঙ্গে থানায় নিয়ে আসে এবং চিকিৎসার জন্য কুমারখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় আসামিকে গ্রেফাতার করে ১৬ মে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলার বাদী ও ছাত্রীর বাবা বলেন, মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে কলার সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, চেতনানাশক খাইয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available