• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ বিকাল ০৩:৩৪:৪৮ (12-May-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ বিকাল ০৩:৩৪:৪৮ (12-May-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ফেনী নদীতে ডুবে রাঙ্গুনিয়ার নও মুসলিম আবু বক্করের মৃত্যু

১২ মে ২০২৫ সকাল ০৯:৫২:২৭

ফেনী নদীতে ডুবে রাঙ্গুনিয়ার নও মুসলিম আবু বক্করের মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ফেনীতে পানিতে ডুবে মারা গেছে আবু বক্কর ছিদ্দিক (২৮), তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা এবং একজন নওমুসলিম। ১০ মে শনিবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় ফেনী নদী থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ১১ মে রোববার দুপুরে তার মরদেহ স্বজনরা নিজ বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে আসেন। একইদিন মাগরিবের নামাজের পর মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দ বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে তার নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মুসলমান হওয়ার পূর্বে আবু বক্কর ছিদ্দিকের নাম ছিলো প্রণব কুমার দে। তিনি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস উত্তর পদুয়া এলাকার তপন কান্তি দে'র ছেলে। তবে ইসলাম ধর্মগ্রহণের পর তিনি মরিয়মনগর ইউনিয়নের ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা যায়। সেখান থেকেই কাজের সন্ধানে ফেনী গিয়ে তিনি এই মর্মান্তিক পরিণতির মুখে পড়েন।

ফেনীর স্থানীয় সাংবাদিক মো. দুলাল তালুকদারের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত আবু বক্কর একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক হিসেবে নদী ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছিলেন। সেখান গত ৯ মে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার তার মরদেহটি পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। একপর্যায়ে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশের দাফন নাকি সৎকার করা হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম নেয়। এই নিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা লাশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে তার শ্বশুর এসে লাশ নিয়ে যান বলে জানান তিনি।

মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তার মূল বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে। রাজারহাট বাজারে একটি দর্জির দোকান ছিলো। পরে মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি এলাকায় দর্জির দোকান দেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়েও করেন স্থানীয় এক তরুণীকে। পরে প্রসবজনিত কারণে তার স্ত্রী মারা যান। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণে পরিবাররের সাথেও তার যোগাযোগ নেই। একসময় তার দর্জির দোকান বিক্রি করে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় যান। তার মরদেহ এলাকাবাসীর সহায়তায় মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে এনে দাফন করা হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ