গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের বিএনপি নেতা এনামুল হক মোল্লা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ছাড়েন আঠারো বছর আগে।
দীর্ঘ দেড় যুগ সৌদী প্রবাসে থেকে ৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন। সে খান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের বাড়িতে আসেন। দীর্ঘ সময় পড় এনামুল বাড়ি ফিরছেন এমন সংবাদে শত শত নেতা কর্মী,স্বজন,প্রিয়জন এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভীর জমায়।
দুপুর পৌনে বারোটায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বাড়ির পাশে অবতরণ করে। এসময় উৎসুক জনতা তাকে ঘিরে ধরে। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ফুলে ফুলে তাকে বরণ করেন স্থানীয়রা। বাড়ি ফেরা এনামুল হক মোল্লা উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের প্রয়াত মাও. আহেদ আলী মোল্লার ছেলে । তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের মেসপালা মহানগর বিএনপির সভাপতি।
জানা যায়, এনামুল হক ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সময় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হন। ক্লিনহার্ট অপারেশনের সময় সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান। জামিনে এসে নিজেকে বাঁচাতে আঠারো বছর আগে দেশ ছেড়ে সৌদী আরবে অবস্থান করেন। দীর্ঘ সময় সেখানে থেকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের নয় মাস পর বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরে নিজ বাড়িতে আসেন।
দীর্ঘ সময় পর এনামুলের বাড়িফেরার খবরে শতশত উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভীর করে । হেলিকপ্টার থেকে নামতেই এক নজর দেখার জন্য তাকে ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। ফুলে ফুলে বরণ করেন বাড়ি ফেরা এনামুলকে। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন।
এনামুল হক মোল্লার ছোট ভাই মাজারুল হক মোল্লা বলেন, আমার বড় ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আঠারো বছর আগে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়েন। প্রবাসে তিনি হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেন। দীর্ঘ সময় প্রবাসে থেকেও ভুলেননি নেতাকর্মী ও এলাকা বাসীদের।
এনামুল হক মোল্লা এশিয়ান টেলিভিশনের অনলাইনকে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হই। হামলা মামলা নির্যাতনে আমার জীবন দূর্বীসহ হয়ে উঠে। আমার হাত পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। আমি জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই। বেঁচে থাকতে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করি।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি বলেন, প্রবাসে থাকার সময় আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা-বাবার মৃত্যু হয়। তাদের লাশ দেখা, দাফন-কাফন ভাগ্যে জুটেনি। আমি কৃতজ্ঞ নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী আমাকে মনে রেখেছেন। সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available