• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৩:৫৮ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৩:৫৮ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ

২৪ মার্চ ২০২৪ রাত ০৮:৫০:৪৮

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: অপরূপ সৌন্দর্যের নজরকাড়া নিদর্শন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত মসজিদটি দেশজুড়ে বহু মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জবাসীর মনোযোগ আকৃষ্ট করেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, নির্মাণশৈলীর দিক থেকে এটি দেশের অন্যতম সেরা মসজিদ হবে।

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বেলকুচি পৌরসভা মুকন্দগাঁতী মহল্লার সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কের পশ্চিম পাশে পৌরসভা কার্যালয়ের পাশেই আড়াই বিঘা জমির ওপর ৩১ হাজার স্কয়ার ফিটে নির্মিত হয়েছে আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদটি।

মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন মুকুন্দগাঁতী এলাকার বাসিন্দা রহমত গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী সরকার। ২০১২ সালে তিনি আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদটির ভিত্তিপ্রর স্থাপন করেন। নিজস্ব অর্থায়নে ছেলে আমানুল্লাহ সরকার ও মা বাহেলা খাতুনের নামে ‘আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ’ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।

শুরু থেকে প্রতিদিন অর্ধ-শতাধিক শ্রমিক মসজিদটি নির্মাণে কাজ করেন। আর নির্মাণকাজ শেষ হতে সর্বমোট নয় বছর সময় লেগেছে। কিন্তু মসজিদটি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের ২ আগস্ট মারা যান শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী সরকার। এরপর তার ছেলে আমান উল্লাহ সরকার মসজিদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন।

নয়নাভিরাম দ্বিতল এই মসজিদটির ওপরে বিশাল আকৃতির একটি গম্বুজের পাশাপাশি ছোট-ছোট আরও ৮টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির দুইপাশে রয়েছে ১১ তলা সমতুল্য (১১০ ফিট) উচ্চতার মিনার। মসজিদের ভেতরে মার্বেল পাথর ও গ্রানাইড পাথর দিয়ে মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম কারুকাজ নজর কেড়ে নেয় দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের।

মসজিদের চারপাশে রয়েছে সাদা রঙের পিলার, সুউচ্চ জানালা ও সাদাটে টাইলস। চত্বরে পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে সবুজ ঘাস। সবকিছু মিলিয়ে যেন অনন্য সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে। রাত এলেই আলোর ঝলকানিতে অপরূপ অবয়বে শোভিত হয় মসজিদটি। চতুর্দিকে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা দূরের দর্শনার্থীকেও আকৃষ্ট করে। মসজিদের ভেতেরও রয়েছে একাধিক ঝাড়বাতির আলো। বেশ দূর থেকেই মসজিদের গম্বুজ ও নির্মাণাধীন মিনার দুইটি দৃষ্টি কাড়ে। রাতের বেলা এক অন্যরকম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

মসজিদের পাশেই ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের থাকার জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়েছে। রয়েছে পাঠাগার ও শৌচাগার। সেইসঙ্গে মসজিদের প্রবেশ পথের দুই সিঁড়ির পাশে কাচে ঘেরা অটো ফিল্টার করা পানি দিয়ে অজু করার ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া ইতালি ও ইন্ডিয়া থেকে আনা উন্নতমানের মার্বেল পাথরসহ কাঠের কারুকাজে মসজিদের বিভিন্ন স্থানকে আকর্ষণীয় করতে নান্দনিক নকশার কাজের যেন খামতি নেই কোথাও। মসজিদটিতে প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ