• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৫৯:৩৬ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৫৯:৩৬ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি

১৬ মার্চ ২০২৪ সকাল ০৭:৪৯:২৫

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। উপচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের আশ্বাসের পর ক্যাম্পাস ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

১৫ মার্চ শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন উপাচার্য। এ সময় তাকে অবন্তিকার অভিযোগপত্র তাকে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, ‘ফাইরুজ যে রিপোর্টের কথা বলেছে, সেই রিপোর্ট আমাকে দেওয়া হয়নি। সে বলেছে তাকে হুমিলিয়েটেড করা হয়েছে। সেই কমপ্লেইনের রেকর্ড আমাকে দেওয়া হয়নি। সেই সহকারী প্রক্টরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। তদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।’

ড. সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘আমি মাত্র ৩ মাস এখানে এসেছি। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার চেষ্টা করছি। প্রক্টরিয়াল বডির প্রধানসহ পাঁচ জন সদস্য নতুন। যে কয়টি যৌন হয়রানি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শেষ হয়েছে আগামী সিন্ডিকেটে প্রত্যেকটির সুরাহা করা হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ২০১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তাঁর এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে ওই সহপাঠীকে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছেন।

১৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের ঠাকুরপাড়া এলাকার নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত প্রক্টর ও শিক্ষার্থী

অবন্তিকা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আম্মান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ওনার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনো জায়গাতেই কানেকটেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরের নাম আসায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





হিলিতে দাম বাড়ল কাঁচা মরিচের
১৩ মে ২০২৪ দুপুর ০২:৪৬:১৮