• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৩:২৭ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:২৩:২৭ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন বাড়ি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত পত্নীতলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা

৫ মার্চ ২০২৪ সকাল ১১:৪১:৪৫

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন বাড়ি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত পত্নীতলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৪৫টি আধাপাকা ইটের বাড়ি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বাড়িগুলো পাওয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কাছে ছিলো আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতোই। যা ছিল, কল্পনাতীত। উপহারের বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র এই সুবিধাভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলায় ৪৫টি সেমিপাকা (আধাপাকা) বাড়ি নির্মাণের বরাদ্দ আসে। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনিসহ দুইটি ঘর। এসব প্রত্যেক বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। বাড়িগুলো নির্মাণের পর গত বছরই উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনুকূলে বরাদ্দ আসে আরো ২২টি সেমিপাকা (আধাপাকা) বাড়ি। যার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে নির্মিত ৪৫টি সেমিপাকা বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২২টি সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। ২২টি বাড়ির মধ্যে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি দৃশ্যমান। অনেক বাড়িতে চলছে চৌচালা টিনের ছাউনি লাগানোর কাজ।

হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদি পেশা কৃষি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কষ্ট করে চলে জীবন জীবিকা। নুন আনতে যেন তাদের পান্তা ফুরানোর অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ তাদের জন্য যেন আশার আলো জাগিয়েছে। তাদের বাড়ি দেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষা উপকরণও দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র এই সুবিধাভোগীরা।

গণেশপুর ইউনিয়নের সুবর্ণপুর গ্রামের সুবিধাভোগী গণেশ বান্দ ও তার স্ত্রী লাইলী বান্দ বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। বাপ-দাদারা বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়ো ঘরে বসবাস করে আসছিল। আমরা দীর্ঘ বছর থেকে এ কুঁড়ো ঘরে কষ্ট করে বসবাস করে আসছিলাম। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়তো। বাচ্চাদের কষ্ট হতো। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বাড়িটি আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। এখন নতুন ঘরে স্বপরিবারে শান্তিতে বসবাস করছি।

পত্নীতলা সদর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের সুবিধাভোগী নরেশ উড়াও বলেন, বাবা-মা’র জীবন কেটেছে বেড়ার ঘরে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমারও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে বেড়ার ঘরে। আমাদের দিন আনা, দিন খেটে খাওয়া সংসার। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

পাটিচড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সুবিধাভোগী গোপাল হেমরম বলেন, আমাদের বাড়িগুলো আগের ইউএনও স্যারের সময়ে বরাদ্দ এসেছিলো। তিনি শুরু থেকেই কাজগুলো দ্রুত গতিতে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। এরমধ্যে নির্বাচনের আগে তাঁর বদলী হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে তাঁর বদলীর পরেও বাড়ি নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রায় প্রত্যেকটা ঘর নির্মাণ গত বছরেই শেষ হয়েছে। আমরা নতুন করে উঠে পড়েছি। সামান্য কয়েকটা ঘরের কাজ বাকি ছিলো। এখন সেগুলোও দৃশ্যমান।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, বদলী সূত্রে নির্বাচনের আগে এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বাড়ি নির্মাণ কাজ চলমান দেখেছি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে দ্রুতই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

পত্নীতলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বর্তমান আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আফরোজ বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছেন। এরই একটি অংশ তাঁদের জন্য আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ। পত্নীতলায় থাকা অবস্থায় ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করেছি। এরপর প্ল্যান অনুযায়ী বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ ঠিকাদার দিয়ে শুরু করা হয়। ঠিকাদার কাজগুলো ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন বলে জেনেছি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ