• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০১:৪৩ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০১:৪৩ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতামত

স্মার্ট বাংলাদেশ, মেট্রোরেল ও নাগরিক ভাবনা

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দুপুর ০১:৪১:৩১

স্মার্ট বাংলাদেশ, মেট্রোরেল ও নাগরিক ভাবনা

স্মার্ট বাংলাদেশ, মেট্রোরেল ও নাগরিক ভাবনা

মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান বাকাউল  : মেট্টোরেল ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশের বিশাল কর্মযজ্ঞের এক অনন্য প্রযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ সীমাহীন বিশ্বগ্রামে দেশে মেট্টোরেলের সূচনা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি তৈরিতে নিশ্চিত ভূমিকা রাখবে। মেট্টোরেল শুধু দেশবাসীর জীবনে প্রশান্তিই আনবে না, জীবনের গতিও বাড়িয়ে দিবে। এই স্মার্ট প্রযুক্তি সময়কে কাজে লাগিয়ে মানুষকে আঙ্গুল দিয়ে সময়ানুবর্তিতা শেখাবে। নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। বলা যায়, স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার দিয়েই প্রথমে এমআরটি-৬ ট্রেনে ঢুকতে হবে। ট্রেনের জন্য ই-টিকেট বা অটোমেশনের টিকেট না থাকলে কেউ স্টেশনের কম্পার্টম্যান্টে প্রবেশ করতে পারবে না। 

মূলত এই এমআরটি ট্রেন সার্ভিস ঢাকা শহরের জনসাধারণকে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে। বর্তমানে প্রাইভেটকার ও জিপ  ব্যবহারকারীরা খুব বেশি দিন নয়, হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আউটিং বা নিকট ভ্রমনে প্রাইভেটকার কিংবা জিপ ব্যবহারের প্রয়োজন পরবে না । মেট্টোর সকল ভ্রমন এবং যাতায়ত অত্যন্ত নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে। গাড়িতে উঠেই হয়তো নিশ্চিত ঘুম দেয়া যাবে। সড়ক দূর্ঘটনা, যানজট ও দীর্ঘ অপেক্ষা থাকবেনা। ট্রেন সার্ভিস পানচুয়ালিটি ও নিরাপদ ভ্রমনের সুখ্যাতি তৈরি করবে। নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ পরিবহন ও নিরাপদ যাত্রী।

ট্রেনে কর্মস্থলে যাওয়া ও আসার সময় সকাল ও বিকালে পেসেঞ্জারদের চাপ থাকবে সন্দেহ নাই। ট্রেনের কামড়াগুলো কানায় কানায় ভর্তি হবে। ভীড়ে ও চাপে সবাই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। সবাই নিজেকে গুটিয়েই নেয়া নয় বরং একজন আরেকজনের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়া, কুজো হয়ে দ্বারানো এবং প্রয়োজনে হয়তো কখনো কখনো কষ্টও সহ্য করতে হবে। মনে হবে অন্যকে সাহায্য করতে পারলে বা অন্যের জন্য একটু জায়গা করে দিতে পারলে আত্নতৃপ্তি পাওয়া যাবে। আমরা  আশা করতে পারি, ট্রেনে এত গাদাগাদি করে দাড়িয়ে থাকলেও সভ্য বাঙ্গালিদের কোন শব্দ শুনা যাবেনা । কেউ কথা বলবেনা। এমনকি হয়তো একসময় ট্রেনে কেউ মোবাইলেও আলাপচারিতায় থাকবেনা । এটা তাদের নরমস্ হয়ে উঠতে পারে।

নিয়মানুবর্তিতা কি এখানে শেখানো হবে। ট্রেনের জন্য অপেক্ষারতদের কেউ পরে এসে আগে উঠবে এটা সিস্টেমেই থাকবেনা। সিরিয়াল অনুসারে আগে পেসেঞ্জাররা নামবে তারপর নতুনরা উঠবে। প্রত্যেহ সকাল এবং বিকাল কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ট্রেনে খুব ভীড় হবে। কখনো কখনো প্রচন্ড চাপ হতে পারে। কিন্তু সভ্য জনগাণের কারো মুখে কোন শব্দ শুনা যাবেনা। স্টেশন থেকে ঘোষণা দেয়া হবে, কেউ কোন কথা না বলে বের হয়ে যান। অর্থাৎ স্টেশনে ভীড় বা চাপে প্রতিবাধ কিংবা ঝগড়া করার প্রয়োজনই হবেনা। হয়তোবা ব্যবহারকারিরাই কেউ কিছু বলবেনা। তারা এটা মেনে নিবে।

বৃদ্ধ ও নারীদের জন্য আলাদা সিট থাকবে। সাধারনত এ রিজার্ভ সিটগুলো খালি খাকলেও বৃদ্ধ ও নারী ছাড়া অন্য কেহ বসতে ইতস্তত করবে হয়তো। কোন ছাত্র-ছাত্রী বসলেও বয়:বৃদ্ধ ও নারী দেখা মাত্রই সিট ছেড়ে দাড়িয়ে যাবে। সিটে কেউ পা উঠাবেনা। কোন প্রতিবন্ধী বা বয়:বৃদ্ধ বা অক্ষম ব্যক্তি (যার অন্যের সাহায্য প্রয়োজন) ট্রেনে উঠলে কর্তব্যরত কর্মচারি বগিতে উঠিয়ে দিয়ে গন্তব্যস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারির সাথে যোগাযোগ করে সেই নাম্বারের বগিতে কর্মচারি কর্তৃক অসুস্থ ব্যক্তিকে রিসিভ করা হবে হয়তো। তাকে অত্যন্ত যত্নসহকারে সম্মানের সহিত ইন-আউটিংএ সহায়তা দেয়া হবে।

সিটের নিচে ময়লা, আবর্জনা, কাগজ, খাবার উচ্ছিষ্ট, পলিথিন, অপ্রয়োজনীয় বস্তু ফেলে দিবে না। পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কথা বললে বলতে হয়; ট্রেনের ভিতর-বাহির কি স্টেশনে কোথাও এক টুকরো কাগজ, থুতু বা ময়লা কিংবা অন্য যেকোন অবর্জনা খুজে পাওয়া যাবেনা। ট্রেনের ভিতরে তাপমাত্রা সহনীয় অনুকূল্যে রাখা হবে। ট্রেনের ভিতর বা বাহিরে কোথাও পিক বা থুথু ফেলবেনা।

প্রত্যেক স্টেশনে টাইম ম্যানেজম্যান্টের ব্যবস্থা থাকবে। দেয়ালে লাগানো রঙ্গিন আকারের চার্টে যে সময় উল্লেখ থাকবে, ঠিক সেই সময়ে ট্রেন এসে হাজির হবে। এক মিনিট এদিগ সেদিক হবেনা। টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজম্যান্ট (টিকিউএম) প্রতিটি কাজে কর্মে দৃশ্যমান থাকবে। ট্রেন স্টেশনগুলোতে স্টেশন প্লান, পূর্ণাঙ্গ ম্যাপ, টাইম কিপারের জন্য ঘড়ি, অগ্নি নির্বাপক ফায়ার এক্সটিংগুইসার, বিশ্রামাগার, অটোমেটেড ডিজিটাল টিকিট মেশিন, সার্বিক সহযোগিতার জন্য কর্তব্যরত সহায়ক কর্মচারী,  ট্রেন স্টেশন প্রবেশ ও বের হওয়ার এ্যারো, বৃদ্ধ, শিশু প্রতিবন্ধীদের উঠা-নামার জন্য আলাদা লিফ্ট, দ্রুত যাওযার জন্য স্কেলেটর ও সিড়ি, ভেন্ডিং মেশিন, টয়লেট, লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার, ফ্রি ওয়াইফাই, কার পার্কিং, সাইকেল পার্কিং, পুলিশ বক্সসহ সবকিছুই হয়তো থাকবে সেখানে। ট্রেন স্টেশনের ভিতরের স্পেস গুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকতে পারে। সেখানে কনভেনিয়েন্ট স্টোর, মানি ট্রান্সফার, ব্যাংকের বুথ, মার্কেট ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। 

সর্বোপরি, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।

লেখক  : পরিচালক (উপ সচিব), দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




জবিতে আসন বাড়ল ৫০টি
২৫ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৫:০৬:২৫

রংপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
২৫ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৪:৪০:৩৮