• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩৩:৫৭ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:৩৩:৫৭ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সমর্থনের অপেক্ষায় ডজনখানেক প্রার্থী

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১০:৫২:১৮

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সমর্থনের অপেক্ষায় ডজনখানেক প্রার্থী

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। দলীয় প্রতীক ছাড়া এবার নির্বাচন হবে, এমন খবরে প্রার্থীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। দলের প্রতীক না থাকলে প্রার্থীদের ভোট বৈতরণী পার হতে অনেকটা বেগ পেতে হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেকারণেই প্রার্থী হতে দলের সমর্থন ও স্থানীয় এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ইশারার অপেক্ষা করছেন অনেক নেতা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্নভাবে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিচ্ছেন অনেকেই। নিজেদের রাজনৈতিক ত্যাগ, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তার কথাও তুলে ধরছেন তারা। তবে আসলেই কারা প্রার্থী হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও চলছে নানা আলোচনা।  

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকতার কামাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য এবং সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, কনকর্ড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছা সওদাগর।  

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার বলেন, “আমার নেতা ড. হাছান মাহমুদ আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি। জনসেবায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিয়মিত অফিসে সময় দিচ্ছি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শ্মশান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। সততার সাথে দায়িত্ব পালনে কারো কাছ থেকে এক টাকাও কখনো গ্রহণ করিনি। আমি খলিল সাহেবের মৃত্যুর পর অবশিষ্ট মেয়াদে এখন দায়িত্ব পালন করছি। এখন প্রিয়নেতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আশা করি পরবর্তীতে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে আমি দলের সমর্থন পাবো।”

মুহাম্মদ আলী শাহ বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলেও আমি দল থেকে সমর্থন প্রত্যাশা করছি। দলীয় আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা আমি কখনো বিসর্জন দেইনি। তাই এবার আমি দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।

কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “২০০২ সালে দুঃসময়ে আমি দলের হয়ে মেয়র প্রার্থী হয়ে ভোট করেছিলাম। যেখানে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে দুইবার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছি। প্রিয়নেতা ড. হাছান মাহমুদের অর্পিত জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দ্বিতীয়বার আর মনোনয়ন চাইনি। নেতৃত্বের যোগ্যতা এবং ত্যাগের বিষয় বিবেচনা করে দলের সমর্থন চাই এবং আমাদের নেতার সুদৃষ্টি কামনা করছি।”

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, “মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমর্থন পেলে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।”

উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন লালানগর ইউনিয়নের কাজী এম এন আলম। এরপর এই পদে আসেন চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের প্রয়াত এম এ জব্বার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে প্রায় ত্রিশ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ হাসনাত। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মুহাম্মদ আলী শাহ।

২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি ২০২০ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে ইন্তেকাল করলে একই বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। এরপর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ