• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪৫:৩৬ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৪৫:৩৬ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নন, তিনি সর্বজনীন: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

৬ অক্টোবর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:০৬:১৮

বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নন, তিনি সর্বজনীন: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

কুমিল্লা প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, শুধু আওয়ামীলীগের না। বাংলাদেশে বাস করতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হবে, বাংলাদেশের নেতা যে তাকে স্বীকার করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে তারা আজ অবহেলিত আর যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল তারাই পদপদবীর মালিক বনে যাচ্ছে।

৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখালচন্দ্র নাহার বাড়িতে তাকে দেখতে যেয়ে এসব কথা বলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১৪ বছরের স্থলে তাকে ২৪ বছর কারা ভোগ করতে হয়েছে। এই দেশটাকে চেয়েছিলাম মানুষের দেশ হিসেবে, দানবের দেশ নয়। মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সাধারণ মানুষের জন্য কিন্তু তা হয়নি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ধর্ম মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি দেবীদ্বারবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, আজকে স্বাধীনতার মর্মবণীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, আপনারা সতর্ক থেকে সচেতনতার সাথে সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ বিপ্লব বীর প্রতীক, সদস্য সারোয়ার হোসেন সজিব, সৈয়দ মাহববুর রহমান পারভেজ, যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবুন্নবী সোহেল, সদস্য মাহবুবুর রহমান রবিন, মো. সাকিল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা প্রমূখ।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের ‘বীর নিবাসের বরাদ্ধের চিঠি’ ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা রাখাল চন্দ্র নাহার হাতে তুলে দেন।

এসময় সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখালচন্দ্র নাহা বলেন, আমি এখন মুক্ত আকাশে নিচে আছি, শান্তিতে আছি, কারাগারে নাই, আমার মুক্তির জন্য দেশবাসী অনেক আন্দোলন করেছে। আপনাদের কারনে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি, তাই সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য, উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে নিখিল চন্দ্র। ঐ দিনই সন্ধ্যায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাখাল চন্দ্র নাহাকে গ্রেফতার করে। নেপাল চন্দ্র নাহা পলাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ রাখাল চন্দ্র ও তার ভাই নেপাল চন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। ২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) খান আবদুল মান্নান রাখাল চন্দ্রকে মৃত্যুদন্ড দেয়। পরে ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ৩ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পায় তার পরিবার। পরের দিন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন ও দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দেবীদ্বার এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ফাঁসির দন্ড রহিত করার জন্য দাবি জানানো হয়।

এ আন্দোলনে যোগ দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও। পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি কাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিনকে এ বীর মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দন্ড মওকুফ করার জন্য অনুরোধ করেন। ফাঁসির নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা আগে রাত ৯ টায় রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় ফাঁসীর দন্ড রহিত করা হয়। ২৫ জুন রাষ্ট্রপতি তার মৃত্যুদন্ড মওকুফ করেন।

অবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেন। তাকে ৫ বছর ৭ মাসের সাজা অব্যহতি দেয়া হয় এবং তিনি  ৩ জুলাই রোববার দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








হিলিতে দাম বাড়ল কাঁচা মরিচের
১৩ মে ২০২৪ দুপুর ০২:৪৬:১৮