বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে চাচার নির্যাতন, মারধরের প্রতিবাদ ও সঠিক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
১৩ জুন শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যর স্ত্রী খাদিজা আক্তার রুমা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। খাদিজা আক্তার রুমা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নধমুল্লা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। মো. আলমগীর হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ ডিপার্ডমেন্ট এ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে বাগেরহাট নতুন পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা আক্তার রুমা জানান, ‘আমার স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে আমিসহ আমার পরিবার বসবাস করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার স্বামীর দূর সম্পর্কের চাচা লোকমান গাজী আমাদের সম্পত্তি আত্মসাত করতে নানাভাবে হয়রানি করছে। আমি বাধ্য হয়ে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য আদালতের স্মরণাপন্য হই। আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। কিন্তু ভূমিদস্যু লোকমান গাজী আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকি, গালিগালাজ, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী চাকরির সুবাধে বাড়িতে না থাকায় লোকমান গাজী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দিনের পর নির্যাতন করতে থাকে। আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তার চাকরি শেষ করে দিবে বলেও হুমকি দেয়। আমি ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও সে কোন কর্ণপাত না করে আমাকে হুমকি প্রদান করে, আমার স্বামী ওসির সাথে যোগাযোগ করলেও সে আমার অভিযোগ নেয়নি, বরং আমার স্বামীর সাথেও খারাপ আচরণ করে। সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ওসি আনোয়ার হোসেন ভূমিদস্যু লোকমান গাজীর সাথে যোগসাজোসে আমার স্বামীর বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করবার ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করছে।’
তিনি আরো জানান, ‘গত ১০ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বসতবাড়িতে অবস্থানকালে লোকমান গাজীর নেতৃত্বে স্থানীয় আবু সালেহ গাজী, মেহেদী হাসান সরদার, মাসুদ সরদার, মাহিম সরদার, হোসেন গাজী, ছরোয়ার সরদার, শাহীন সরদার, লাকী বেগম, সাথী বেগম, জাহানারা বেগম, বুলু বেগম বেআইনীভাবে আমাদের বসতঘরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আসলেও তারা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের সহযোগিতায় বসতঘরের সকল মালামাল তছনছ করে দেয়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে আমিসহ আমার ছেলে ছিফাত, ভাতিজা নাইমুল ইসলাম সিয়াম ও আমার জা শাহিদা আক্তার লিলিকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে। পরে পুলিশ সন্ত্রাসীদের কিছু না বলে আমাদের থানায় নিয়ে যায়। প্রশাসন আমাদের চিকিৎসার সুযোগ করে না দিয়ে থানায় সকাল ১১টার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বেআইনীভাবে আটকে রাখে। পরে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে ও আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। আমরা প্রাণের ভয়ে পিরোজপুর হাসপাতালে না গিয়ে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছি।’
তিনি এ সকল ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় পুলিশ সদস্য মো. আলমগীর হোসেনের ভাইয়ের স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিলি উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available