খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে গ্রীষ্মকালে ফোটা কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুল ও রাঁধাচূড়ায় ছেয়ে গেছে চারপাশ। বৈশাখী হাওয়ায় দুলছে সোনালু ফুল। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সড়কের পাশে ও বাড়ীর আঙ্গিনায় দেখা মিলছে হলুদ-সোনালি রঙের থোকা থোকা সোনালু ফুলের গাছ। এতে মুগ্ধ খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটক ও পথচারীরা। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য যেন ঢাকা না পড়ে উন্নয়নে সে প্রত্যাশা নাগরিক সমাজের।
সবুজ পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়ি সারাদেশে পরিচিতি নৈসর্গিক সৌন্দযের কারণে। গ্রীষ্মের বাহারী ফুলে ছেয়ে গেছে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির পথ-প্রান্তর। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, সোনালু, জারুল, লাল সোনাইল সহ নাম জানা অজানা কত ফুল। সে সবুজ বুকে খাগড়াছড়ি প্রবেশের পর রাস্তার দু-পাশে দেখা মিলবে সোনালু ফুলের গাছ। এ যেন পর্যটক ও পথচারীদের স্বাগত জানাচ্ছে সোনালু ফুল।
কোকিলের কুহু কুহু ও বিভিন্ন পাখির কিচির-মিচির ডাক যে কোন আগন্তুককে মুগ্ধ করবে। শুধু সড়কের পাশে নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে ও বাড়ীর আঙ্গিনায় মিলবে সোনালু ফুলের শোভা। অনেকটা কিশোরীর কানের দুলের মতো বৈশাখী হাওয়ায় দুলছে হলুদ-সোনালি রঙের থোকা থোকা সোনালু ফুল। বৈশাখীর খরতাপে চলতি পথে সোনালু ফুলে মুগ্ধ পর্যটক ও পথচারীরা।
সড়কের দুই পাশ, বসত বাড়ির আঙ্গিনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবখানে রক্ত রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া, হলুদ আভার সোনালু ও জারুল যেন পুড়ে পুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। পর্যটক কি স্থানীয় সবারই নজর কাড়ছে নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য।
এক সময় জেলায় কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, কদম, চম্পা সহ ঋতুভেদে নানা ফুল ফুটলেও সড়ক সম্প্রসারণ ও অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নে কাটা পড়েছে। যা অবশিষ্ট আছে তা রক্ষায় উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন করে বৃক্ষরোপনের দাবি করেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
জানা গেছে, আয়বর্ধক বৃক্ষের প্রতি গুরুত্ব দেয়ায় বিগত এক দশক ধরে সরকারিভাবে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু সহ সৌন্দর্যবর্ধন গাছের চারা রোপন বন্ধ রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available