বরিশাল ব্যুরো: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের মারধরের ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও এ মামলায় আরও ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। এর আগে ৭ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির ১০ জানুয়ারি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম খান শাওন, শরিফুল ইসলাম, একে আরাফাত। বাংলা বিভাগের রাকিবুল হাসান, তুষার রহমান, রাকিব হোসেন, পলাশ দাস। ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, সাইমুন হোসন, শাহারিয়ার শাকিল। ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান। রসায়ন বিভাগের নাহিদ রাফিন ও নজরুল রিফাত। এছাড়া সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌস, ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হান্নান বাপ্পী, মামুন ফরাজী ও শরিফুল ইসলাম। মামলায় আরও ১০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিরাজ বলেন, হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এছাড়া পুরো ঘটনা তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল ভুক্তভোগী মাসুম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি দুপুরে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবারের বিল পরিশোধ করছিলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ২৫, ৩০ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে কাউন্সিলরের মোটরসাইকেল চালক মাসুম ও পরে কাউন্সিলর হুমায়ূন কবিরকে ঘুষি ও লাথি মেরে নিচে ফেলে দেন।
তবে অভিযুক্তদের দাবি, তারা ওই হোটেলে খাবার খেতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি এসে তারাতারি খাবার খেয়ে টেবিল ছাড়তে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম বলেন, রূপাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু মামলার আসামি কারা তা আমি জানি না।
প্রক্টর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা বাইরে কোন শিক্ষার্থী বিপদে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বদা পাশে পাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে অন্যায় কোন কাজে জড়িত হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না। এই দায় শিক্ষার্থীর নিজেকেই নিতে হবে।
অন্যায় করলে আইন আইনের গতিতে চলবে উল্লেখ করে ড. আব্দুল কাইউম বলেন, কোন শিক্ষার্থী ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য কোন অঘটন ঘটালে তার দায় আমরা কেন নিবো? রূপাতলীর ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available