• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১৩:১৩ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১৩:১৩ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের বেহাল দশা

১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৫১:৪০

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের বেহাল দশা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪টি বিভাগে শিক্ষার্থী সংখ্যা আট হাজারের অধিক। ২ শতাধিক শিক্ষকসহ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক’শ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিপুল এই জনবলের চিকিৎসা সেবা প্রদান খুবই জরুরী একটা বিষয়। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা নেই।

এদিকে  মেডিকেলে ডাক্তার স্বল্পতা, ঔষধ সংকট আরও রয়েছে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংকট। শুক্রবার ও শনিবার মেডিকেল সেন্টার বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সকলের। ২৪ ঘণ্টা মেডিকেল খোলা না থাকায়  শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি উঠেছে চরমে। আরও নানান সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে মেডিকেল সেন্টারটি।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার পর থাকেন না কোনো চিকিৎসক। শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে ব্যথার দান। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় রোগীদের। এসব বিষয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। এক প্রকার খামখেয়ালিপনায় চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যথার দান মেডিকেল সেন্টারটি।

তারা আরও বলেন, ব্যথার দান মেডিকেল সেন্টারে একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সঠিক সময়ে তা পাওয়া যায় না। ফলে রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার জন্য নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। উন্নত যন্ত্রপাতির অভাবে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।

চারুকলা অনুষদের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান সৃষ্টি বলেন, বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসে পড়াশোনা করছি। যেকোনো সময় যেকোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়া খুব স্বাভাবিক। চারটি হলে রোজই বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হচ্ছে। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে আমাদের ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া লাগে।

আইন ও বিচার বিভাগের ( ২০২২-২৩ সেশন) নাঈম আজাদ বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টার হলো ব্যথারদান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে অন্ধকার নেমে আসে এখানে। যার ভুক্তভোগী আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমি চাই মেডিকেল সেন্টারের সেবা কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হোক।

মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা বছরে ১০ লক্ষ টাকা পাই। এ বাজেট সামান্য। এতে সব ঔষধ দেওয়া সম্ভব না। ডাক্তার ও জনবলের জন্য আমারা রেজিস্ট্রার দফতরে আমাদের ডাক্তার চাহিদা কাগজ জমা দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার হল প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে সব ঔষধ পাওয়া যাবে, বিষয়টা এমন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে আরও স্টাফের প্রয়োজন। স্টাফ নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দিয়েই আরও এ্যাম্বুলেন্স কেনার কথা ভাবছি। এটা বৃদ্ধি করা গেলে চিকিৎসা সেবা ভাল হবে বলে আমি আশা করি। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ’র অবরোধ পালন
২০ মে ২০২৪ দুপুর ০২:৪৪:২৬