• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:২২:১২ (17-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৫:২২:১২ (17-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

জবি ক্যাম্পাস যেন ময়লার ভাগাড়! অপসারণে মাসে দেড় লক্ষ টাকা দাবি

১৫ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৪৯:৩৬

জবি ক্যাম্পাস যেন ময়লার ভাগাড়! অপসারণে মাসে দেড় লক্ষ টাকা দাবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি: নিয়মিত অপসারণ করা হচ্ছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন বর্জ্য। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইটের পাশেসহ বিভিন্ন স্থানে স্তুপ হয়ে আছে ময়লা। দেখে মনে হয়, এ যেন ময়লার ভাগাড়! এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন এ বর্জ্য অপসারণে মাসে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) টেন্ডারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘সিকদার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’।

জানা গেছে, অতীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাংলাবাজার ফুটওভার ব্রিজের নিচে ডাস্টবিনে ক্যাম্পাসের সব বর্জ্য ফেলতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। সেখান থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মীরা নিয়মিত সেগুলো অপসারণ করতো।

সম্প্রতি সিটি করপোরেশন সেই ডাস্টবিনটি সরিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণের টেন্ডার দিয়েছে  ‘সিকদার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। গত ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালামত হোসেন এক চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য অপসারণে মাসে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করছে।

এ বিষয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় গত কয়েক মাস যাবৎ এসব বর্জ্য নিয়মিত অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইটের পাশেসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে রাতে সিটি করপোরেশনের একটি ভ্যান এসে এসব ময়লা নিয়ে যায়। নিয়মিত ময়লা না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কমিটি আহ্বায়ক ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদেরের সাথে। তিনি বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়লা নেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের গাড়ি আসতো। কিন্তু কয়েক মাস আগে সিটি করপোরেশন থেকে ময়লা নেয়ার জন্য ইজারা পেয়েছে বলে কিছু লোকজন আসে। কাগজপত্র জমা দিয়ে জানায়, তারা এখন থেকে নিয়মিত ময়লা নিবে। বাসা বাড়িতে ১০০ টাকা করে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কত নিবে, সেই বিষয়টি ওই কাগজপত্রে লেখা ছিলো না। আলোচনার মাধ্যমে পরে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করবে বলে তখন জানিয়েছিলো তারা। এক মাস ময়লা নেয়ার পর তারা দেড় লক্ষ টাকা চেয়ে বিল দেয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহনযোগ্য নয়। এ কারণে এখন তারা নিয়মিত এ ময়লা নিচ্ছে না। যার ফলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ময়লায় ভরে গেছে।’

জবির আরও খবর: ছাত্রী প্রেমে মশগুল জবি শিক্ষক, করলেন প্রশ্নফাঁস!

এখন কি পদক্ষেপ নিবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা সিটি করপোরেশনের কাছে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পোর্টেবল ডাস্টবিন দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠাবো। আর এভাবে যেন খোলা অবস্থায় ময়লা ফেলা না হয়, সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করবো। আলোচনার মাধ্যমে টাকার বিষয়টিও  সুরাহা করা হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এতো বরাদ্দ নেই। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। কতটা কমানো যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করবো। তবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা হলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ‘সিকদার ট্রেড ইন্টান্যাশনাল’-এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালামত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস ও হলের বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয় নি।

আরও পড়ুন : ইন্টারনেট সেবার নিম্নমানে ভোগান্তিতে জবি শিক্ষার্থীরা

দেড় লক্ষ টাকা দাবির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য আমাদের ৬জন কর্মীরা কাজ করবে। তাদেরকে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা করে ৯০ হাজার টাকা বেতন ধরা হয়েছে। এছাড়াও একজন সুপারভাইজার লাগবে, যার বেতন ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও তাদের নাস্তা খরচ ও প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশসহ সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে ব্যয় কমানো যেতে পারে বলেও জানান সালামত হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে সিকদার ট্রেড ইন্টান্যাশনাল উল্লেখ করে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রতি মাসে বর্জ্য অপসারণকারী প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক স্টেট অফিসার বলেন, কোম্পানি যে হিসেব দিয়েছে, সে অনুযায়ী ঢাবি’র সাথে তুলনা করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য অপসারণের জন্য মাসে জন্য ২০ হাজার টাকাই অনেক বেশি। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


সাঈদ খোকনের মিট দ্য প্রেস শনিবার
১৭ মে ২০২৪ বিকাল ০৫:১১:৫৫