• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০১:২৯:৩০ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০১:২৯:৩০ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

ইবিতে যৌন হয়রানি ও সমকামিতায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

১৭ মে ২০২৫ সকাল ০৯:৫২:১৯

ইবিতে যৌন হয়রানি ও সমকামিতায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আবারও মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তার উপস্থিতি সন্দেহে ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবনে তালা দিয়ে সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও কোষাধ্যক্ষকেও অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

১৬ মে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবনের দুই গেট অবরোধ করে বিষয়টির স্থায়ী সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনস্থল ত্যাগ করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের গগন হরকরা মিলনায়তনে ২ঘণ্টা ব্যাপী ওই শিক্ষকের অভিযোগ ও শাস্তি পর্যালোচনার জন্য ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমানের সাথে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জুম্মা ফের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করেন। এসময় ঐ ভবনের একটি কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজের অবস্থান সন্দেহে শিক্ষার্থীরা ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, কোষাধ্যক্ষসহ অন্যান্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে শিক্ষার্থীরা অন্য গেটে গেলে ড. আশরাফুর রহমান চলে যান।

শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগে তদন্ত কমিটির কছে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তে হাফিজের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এর পরেও তাকে স্থায়ী বহিষ্কার না করে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। আমাদের সাথে ২ ঘণ্টা মতবিনিময় সভা করেছে এই তদন্ত কমিটি। কিন্তু তদের কথায় আমাদের মনে হয়েছে এই কমিটি বায়স্ট। আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছি। পূর্বের তদন্ত কমিটির কাছে ইতোমধ্যেই আমরা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ উত্থাপন করেছি, সেগুলোর ভিত্তিতে তদন্ত কাজ করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজের ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তারা চাইলেই তদন্ত কমিটি থেকে তথ্য নিতে পারেন। পূর্বের তদন্তে যেহেতু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, সেই ভিত্তিতে হফিজকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বোরহান কবির বলেন, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কিন্তু তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে লঘু শাস্তি দিয়ে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমান বলেন, 'যেহেতু বিষয়টি সাব-জুডিস অবস্থায় আছে সেহেতু কোনো মন্তব্য করবো না।'

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের ‘নষ্টা ও বাজারের মেয়ে’সহ প্রকাশের অনুপযোগী বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ, কথা না শুনলে মার্ক কম দেওয়া, মেয়েদের পার্সোনাল নাম্বারে কল দিযে বিরক্ত করা, ফেসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ কথোপকথন ও ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামীতায় বাধ্য করাসহ নানা অভিযোগ ওঠে।

পরে তার অপসারণের দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও উপাচার্যের কাছে তারা লিখিতভাবে ২৭ দফা অভিযোগ ও মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তবে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা হাফিজের এই শাস্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাফিজকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান। দাবি আদায়ে গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করলে প্রশাসন শাস্তি পর্যালোচনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে সর্বশেষ সিন্ডিকেটে শাস্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ