৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইবি ভিসির শুভেচ্ছা
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে দক্ষ ও নৈতিক নাগরিক গড়ে তোলাই ইবির মূল লক্ষ্য, এবং সেই পথেই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে।উপাচার্য জানান, ১৯৭৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৮৬ সালে চারটি বিভাগ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি নয়টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ নিয়ে একটি পরিপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।তিনি আরও জানান, নতুনভাবে চালু করা হয়েছে ‘ইসলাম অ্যান্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন’ অনুষদ, যার অধীনে তিনটি বিভাগ আগামী ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম শুরু করবে। পাশাপাশি থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে আরও দুটি নতুন বিভাগ যুক্ত হয়েছে।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, প্রতিষ্ঠার সময় জেদ্দা ডিক্লেরেশন ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাবনা ও চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে দেশের প্রথম পাবলিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্লাস। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজীপুরে স্থানান্তর এবং পরে পুনরায় কুষ্টিয়ায় ফিরে আসে। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়।২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, ইবিতে ৯টি অনুষদ, ৩৬টি বিভাগ এবং মোট শিক্ষার্থী ১৯ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৩১২ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৫৮৫ জন। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন ভর্তি হয়েছেন ২,৪৪৮ জন। বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থী ১৮ জন। এ পর্যন্ত ২৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪১১ জন শিক্ষক এবং মোট ৭২৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন।ইবির গবেষণায়ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭৪৯ জন পিএইচডি এবং ৮৫৫ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে ১২৫ জন পিএইচডি এবং ১০২ জন এমফিল গবেষণা করছেন।