ইবির ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
ইবি প্রতিনিধি: বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১২ নভেম্বর বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়।অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন বিভাগের ও বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭০তম সাধারণ সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার নাজিম ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান সায়েমকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই কারণে মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয়কে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।তাদের এই বহিষ্কারাদেশ গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেটের সাধারণ সভায় প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকবেন মর্মে বিভাগের সভাপতির কাছে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার আদেশ দেয় প্রশাসন।উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করে। পরে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাধা দিলে ভাঙচুরকারীরা সমন্বয়কদের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।