স্পোর্টস ডেস্ক: মৌসুমটা বাজেভাবে শুরু করার পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দারুণ সব প্রত্যাবর্তনে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল। রেকর্ড ষষ্ঠ আইপিএল শিরোপায় চোখ ছিল তাদের। ২০৩ রান করে স্বস্তিতে থাকার কথা, ছিলও তাই। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার তাদের স্বস্তি কেড়ে নিলেন। তার ব্যাটে ২০৪ রানের লক্ষ্য এক ওভার বাকি থাকতে পূরণ করলো পাঞ্জাব।
১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠে গেলো দলটি। মঙ্গলবার হবে শিরোপার লড়াই, সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আহমেদাবাদে বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা কোনও কাটওভার ছাড়া খেলতে নামে দুই দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টো, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা ও নামান ধীরের ব্যাটে ৬ উইকেটে ২০৩ রান করে মুম্বাই।
রোহিত শর্মাকে (৮) দ্বিতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটান মার্কাস স্টয়নিস। বেয়ারস্টো ও তিলক ২৯ বলে ৫১ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন।
বেয়ারস্টো ৩৮ রানে ফিরে গেলে সূর্যকুমার ও তিলকের ৪২ বলে ৭২ রানের জুটি মুম্বাইকে দারুণ অবস্থানে নেয়। তিন বলের মধ্যে দুজনে হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। সূর্যকুমার ২৬ বলে করেন ৪৪ রান। তিলক একই রান করেন ২৯ বল খেলে।
তারপর নামানের ১৮ বলে ৭ চারে ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছায় মুম্বাই। রাজ বাওয়ার ব্যাটে দুইশ পার করে তারা। মুম্বাইয়ের এই ব্যাটার ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাঞ্জাবের পক্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই দুটি উইকেট নিয়ে সফল বোলার।
লক্ষ্যে নেমে প্রভসিমরান সিং (৬) দলীয় ১৩ রানে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার। পাওয়ার প্লে শেষ না হতে আরেক ওপেনার প্রিয়ানশ আরিয়া ১০ বলে ২০ রান করে অশ্বনী কুমারকে উইকেট দেন। তার সঙ্গে জশ ইংলিস ১৮ বলে ৪২ রান করেন।
চার নম্বরে মাঠে নামেন শ্রেয়াস। ইংলিস ২১ বলে ৩৮ রানে বিদায় নেন। তারপর বাকি সময় চলে শ্রেয়াসের দাপট। নেহাল ওয়াধেরাকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইকে চাপে রাখেন তিনি। তবে ১৬তম ওভারে দুজনের জুটি ভেঙে মুম্বাই ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল।
নেহাল ২৯ বলে ৪৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরার পরের ওভারে শশাঙ্ক সিংকে দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট করেন মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। চাপে পড়েছিল পাঞ্জাব, ৫ উইকেট হাতে রেখে তখন ২০ বলে দরকার ৩৫ রান।
২৭ বলে ফিফটি করা শ্রেয়াস বাকি পথ পাড়ি দেন চার-ছক্কা মেরে। ১২ বলে যখন ২৩ রান দরকার, তখন ১৯তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি পাঞ্জাবকে জেতান।
শেষদিকে স্টয়নিসের সঙ্গে শ্রেয়াসের জুটি ছিল ১৫ বলে ৩৮ রানের। ৪১ বলে ৬ চার ও ৮ ছয়ে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতান তিনি।
১৯ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে পাঞ্জাব।
গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন শ্রেয়াস। এবার দুটি ভিন্ন দলের হয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে উঠলেন। প্রথমবার ট্রফির খোঁজে পাঞ্জাব। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে খেলবে তারা।
আগামীকাল যে দলই শিরোপা জিতুক না কেন, তারা পাবে প্রথম আইপিএল ট্রফির স্বাদ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available