• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩৩:৩৫ (04-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:৩৩:৩৫ (04-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ধর্ম ও জীবন

যাদের উপর এবং যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয

৩ এপ্রিল ২০২৪ দুপুর ০১:০০:২৪

যাদের উপর এবং যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয

এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ: যাকাত ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদত। এজন্য শুধু মুসলিমগণকেই যাকাত আদায়ের জন্য ইসলাম ধর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কোন বিধর্মী যাকাতের জন্য সম্বোধিত নয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠায় যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।

যাদের উপর যাকাত ফরয-
সুস্থমস্তিষ্ক, আযাদ (স্বাধীন), বালেগ মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে যাকাত আদায় করা তার ওপর ফরয হয়ে যায়। (সূত্র- আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে : ২/৭৯-৮২)

এছাড়া অসুস্থমস্তিষ্কের মুসলিমের ওপর এবং নাবালেগ শিশু-কিশোরের ওপর যাকাত আদায় করা ফরয নয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা :৬/৪৬১-৪৬২, রদ্দুল মুহতার : ২/২৫৯)

যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয-
সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর যাকাত ফরয হয় না। শুধু সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, পালিত পশু (নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী) এবং ব্যবসার পণ্যের ওপর যাকাত ফরয হয়। নিন্মে যেসব জিনিসের উপর যাকাত ফরয তাদের একটা বিবরণ দেওয়া হলো-

* স্বর্ণরৌপ্যের অলংকার সর্বদা বা কালেভদ্রে ব্যবহৃত হোক কিংবা একেবারেই ব্যবহার না করা হোক সর্বাবস্থাতেই তার যাকাত দিতে হবে। (সুনানে আবু দাউদ ; ১/২৫৫) অলংকার ছাড়া সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীর ওপরও যাকাত ফরয হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৬১)

* জামা-কাপড় কিংবা অন্য কোনো সামগ্রীতে সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকলে তা-ও যাকাতের  হিসাবের  অন্তর্ভুক্ত হবে এবং যে পরিমাণ সোনা-রুপা কারুকাজে লেগেছে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে তারও যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক : ৭০৬৬)

* সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদির উপর যাকাত ফরয নয়। তদ্রূপ হিরা, মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসাপণ্য না হলে সেগুলোতেও যাকাত ফরয নয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ৬/৪৪৭-৪৪৮)

* মৌলিক প্রয়োজন থেকে উদ্ধৃত্ত টাকা-পয়সা নিসাব পরিমাণ হলে এবং এক বছর স্থায়ী হলে বছর শেষে তার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৯১,৭০৯২)

* তদ্রূপ ব্যাংক-ব্যালেন্স, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড, সার্টিফিকেট ইত্যাদিও নগদ টাকা-পয়সার মতোই। এসবের ওপরও যাকাত ফরয হয়। টাকা-পয়সা ব্যবসায় না খাটিয়ে এমনি রেখে দিলেও তাতে যাকাত ফরয হয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৬৭, রদ্দুল মুহতার : ২/২৬২,৩০০)

* হজ্বের উদ্দেশ্যে কিংবা ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ছেলে-মেয়ের বিয়ে-শাদি ইত্যাদি প্রয়োজনের জন্য যে অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে তা অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে যুক্ত হয়ে নিসাব পরিমাণ হলে এবং নিসাবের ওপর এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ফরয হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তা যদি খরচ হয়ে যায় তাহলে যাকাত ফরয হবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক : ৭০৩২, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা - ১০৩২৫)

* দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা থাকে তা বাণিজ্য-দ্রব্য। এর মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা ফরয। (সুনানে আবু দাউদ : ১/২১৮, সুনানে কুবরা বায়হাকী : ৪/১৫৭)

* ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩, ৭১০৪)

আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাহকে সহিহ নিয়তে সঠিকভাবে হিসেব পূর্ণ করে যাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ