স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কবিতা (২৮) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে তার স্বামী সুজন মিয়া গলা কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ কবিতার স্বামী সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
২৯ মে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিহত কবিতা নিলফামারী সদর উপজেলার মাঝপাড়া কলোনির কদম আলীর মেয়ে।
গ্রেফতার সুজন মিয়া (৩২) নিলফামারী সদর উপজেলার মাঝুডাঙ্গা সিংমারী গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে। তারা সোহাগপুর এলাকার মোসা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, কবিতা ও সুজন দম্পতি ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে কাজ করত। কবিতা গোড়াই এলাকায় হামিম গ্রুপের এক্সফ্লোর গার্মেন্টসে সুয়িং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন এবং তার স্বামী সুজন মিয়া অটোরিকশার মিস্ত্রি এবং ইটভাটায় কাজ করত। তাদের ঘরে রয়েছে কাইয়ুম (১০) এবং সুমাইয়া (৮) নামে দুই সন্তান।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায় সুজন মিয়া বটি দিয়ে স্ত্রী কবিতার গলা, বুকে ও পিঠে কোপ দিলে ঘটনাস্থলৈই সে মারা যায়। ঘটনার পর পরই ঘাতক সুজন মিয়া পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ৩০ মে শুক্রবার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা কদম আলী বাদী হয়ে সুজন মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দেওহাটা এলাকা থেকে সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী নিহতের বাবা কদম আলী জানান, আমরাও কবিতার পাশের বাসায় ভাড়া থাকি। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নাতনী সুমাইয়ার চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখি। দরজা না খোলায় ভাঙ্গার চেষ্টা করি। পরে শাবল নিয়ে এসে দেখি সুজন পালিয়ে গেছে। কবিতা প্রতিমাসে বেতন পেয়ে সব টাকা সুজনের হাতে তুলে দিত। টাকা হাতে পেয়ে সুজন ১০ থেকে ১৫ দিন বাসায় থাকতো না। বৃহস্পতিবার রাতেও বাসায় এসে কবিতার নিকট টাকা চায়। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুজন মিয়া স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের গলায় নিজেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে। চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available