• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:২২:৪৯ (27-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:২২:৪৯ (27-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রাঙামাটিতে টোল আদায় কেন্দ্রের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

২৫ মার্চ ২০২৪ সকাল ০৯:৪৬:৪০

রাঙামাটিতে টোল আদায় কেন্দ্রের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি মানিকছড়িতে সদর উপজেলা পরিষদের টোল আদায় কেন্দ্রটি নতুন অর্থ বছরে পরিচালনার জন্য দরপত্র প্রকাশ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদাররা। তাদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে এ কাজ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে তাদের নামে দরপত্র ক্রয় করা হলেও ঠিকাদাররা বলছেন এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।

ঠিকাদাররা অভিযোগ তুলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে ঠিকাদারদের একটি অংশের সাথে যোগসাজসে এ কাজ করেছেন।

এর আগে ৭ মার্চ স্থানীয় দৈনিক রাঙামাটি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উপজেলা পরিষদ থেকে সিডিউল সংগ্রহ করে ৬টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং খোলার সময় নির্ধারিত ছিল ২৪ মার্চ দুপুর ২টায়।

উপজেলা পরিষদের সূত্রমতে, সিডিউল সংগ্রহ করা ৬ ঠিকাদারের মধ্যে বায়োজিদ এন্টার প্রাইজ, মমতাজ স্টোর, তারিক হোসেন, মোর্শেদ আলম, উর্মি চাকমার নাম জানান উপজেলা পরিষদের ষাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী নাজমা আক্তার। তবে এ নিয়ে সংবাদকর্মীদের কোনো তথ্য প্রদান ও কথা বলতে রাজি হননি নাজমা। তিনি জানান, আমি ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু দিতে পারব না।

উর্মি চাকমার ঠিকাদারী লাইসেন্স নিয়ে বর্তমানে টোল আদায় কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন উর্মির স্বামী সব্যসাচী চাকমা, মো. খালেদ মাসুদ ও মো. শওকত আলম।

মো. খালেদ মাসুদ ও মো. শওকত আলম বলেন, আমরা এ টোল আদায় কেন্দ্রে কাজ করছি গত ২ বছর ধরে। নতুন অর্থ বছরে কবে দরপত্র আহবান করা হবে এ নিয়ে আমি উপজেলা পরিষদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে অফিসে খোঁজ নেওয়ার পরও আমাকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। আমাদের লাইসেন্সের নামে সিডিউল সংগ্রহ করা হয়েছে। অথচ, আমরা কেউ জানি না। কখন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় সেটাও আমরা জানি না। এটা দুর্নীতি, এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে অনলাইনে টেন্ডার দিয়ে কাজ করতে হবে। এভাবে ম্যানুয়েল টেন্ডার আহবানের কাজ অব্যাহত থাকলে অনিয়ম বন্ধ হবে না। আমরা এ দরপত্র বাতিল করে অনলাইনের মাধ্যমে পুনরায় দরপত্রের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছি।

সব্যসচী চাকমা বলেন, আমার স্ত্রী উর্মির নামে লাইসেন্স নিয়ে আমি কাজ করছি। কিন্তু আমার লাইসেন্স নিয়ে কে সিডিউল ক্রয় করল আমি জানি না। আগে পর পর দুই বছর আমার লাইসেন্সে কাজ পেয়েছি। সম্ভবত উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা গোপনে আমার নামে সিডিউল বিক্রি করে দিয়েছে। গত বছর ১১টি সিডিউল বিক্রি হয়। এবার অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে এ কাজ করায় অনেক ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করতে পারেনি। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার মোবাইল রিসিভ করেননি। ইউএনও’র পি-এ টু সুজন দে বলেন, স্যার আজকে বদলী হয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন তাই খুব ব্যস্ত আছেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান রোমান বলেন, আমি টেন্ডার কমিটির কোনো সদস্য নই। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


রংপুর মেডিকেলে ১৫ দিনে ৩৩৭ জনের মৃত্যু
২৭ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৪:০১:৪৬






এনায়েতপুরে যুবলীগের সুপেয় পানি বিতরণ
২৭ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৩:০৪:১৩