• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:৪০:৪৩ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:৪০:৪৩ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সৈয়দপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঝিঙে চাষ

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৫:৩৫:৫০

সৈয়দপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঝিঙে চাষ

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ঝিঙে চাষে সাফল্য পেয়েছে স্থানীয় চাষীরা। ঝিঙে চাষ এখন স্থানীয়ভাবে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঝিঙে চাষে খরচ কম হওয়ায় চাষীরাও এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছে।  

নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের দক্ষিণ সুবর্ণখুলি গ্রামে ঝিঙের চাষ করেছেন কৃষক সুবাস চন্দ্র রায়। তিনি প্রায় এক যুগ থেকে ঝিঙে চাষ করে আসছেন। এবারও তিনি ২৮ শতক জমিতে ঝিঙে চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঝিঙে চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, আমিই একমাত্র কৃষক এ গ্রামে যে প্রথম ঝিঙে চাষ শুরু করি। ঝিঙে চাষ করলে ৮ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়, চাষে খরচও কম হয়। তবে লাভ অনেক বেশী। আমার ২৮ শতক জমিতে ঝিঙে চাষে মোট ব্যয় হয়েছে ২৫  হাজার টাকা। আর আমি ফল পাচ্ছি ২ দিন পর পর ৩ মন করে। যা পাইকারী বিক্রি করছি প্রতি মন ৮০০ টাকা করে।  ৮ মাসে ঝিঙে বিক্রি করে আমি আনুমানিক ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা আয় করতে পারবো। আর যদি আমি দেশী ঝিঙে চাষ না করে হাইব্রিড ঝিঙে চাষ করতাম তাহলে আমার ফলন দ্বিগুন হতো। কারণ হাইব্রিড ঝিঙের ফলন বেশী হয়।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কিসামত কাদিখোল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও মিন্টু রহমান জানান,তারাও প্রায় ৮ বছর ধরে ঝিঙে চাষ করে আসছেন। ঝিঙের মাচাংয়ে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছেন শিম, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, চুনা কুমড়া, শাকপুতি এবং মাচাংয়ের নিচে কচু এবং ওল। তারা বলেন ঝিঙে চাষ করে নিজের প্রয়োজন মেটানোর পর বাজারে বিক্রি করে আমরা অর্থ উপার্জন করতে পারছি। সবজি হিসেবে ঝিঙে এখন গ্রামের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় তরকারী।

নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময়ব্যপি উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং প্রচুর সূর্যালোক থাকে এমন জমি ঝিঙে চাষের জন্য উত্তম। তবে দোঁআশ মাটিতে ঝিঙে চাষ সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, বর্তমানে দেশী জাতীয় ঝিঙে এক বিঘা জমিতে যে ফলন হয় তার চেয়ে দ্বিগুন ফলন হয় হাইব্রিড জাতে। তাই কৃষকরা এখন হাইব্রিড ঝিঙে চাষে বেশী আগ্রহী হচ্ছে। এদের মধ্যে গ্রীণ স্টার, বসন্তী, সামিহা, ডায়েট, অনামিকা, মাওতি, লুফা ইত্যাদি।

ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাস ঝিঙে বীজ বপনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। প্রতি শতকে বীজ লাগে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম। ঝিঙে বীজ বপনের পুর্বে জমি ভালভাবে চাষ দিতে হবে। তারপর মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে জমিতে বড় মাটির দলা এবং কোন আগাছা না থাকে।

ঝিঙে চাষ সম্পর্কে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুবন বলেন, বেড তৈরী করতে হবে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। দুই বেডের মাঝখানে ৬০ সেন্টিমিটার ব্যাসের সেচ ও নিস্কাশন নালা রাখতে হবে। গাছ পরিচর্যার সুবিধার্থে প্রতি ২ বেডের মাঝে ৩০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত নালা রাখতে হবে।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলি জানান, ঝিঙে চাষে প্রতি বেডে গোবর সার দিতে হবে ৫ থেকে ১০ কেজি। ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৪০০ গ্রাম, এমওপি ৩০০ গ্রাম এবং ব্রোন দিতে হবে ২ গ্রাম করে।

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝিঙে গাছের প্রধান শত্রু বিটল পোকা। এছাড়া গান্ধী পোকা গাছের রস চুষে খায়, মাছি ফল নষ্ট করে। তাই সময় মতো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, ঝিঙে চাষে গাছ লাগানোর দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় প্রায় ১০ মাস পর্যন্ত।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ