• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:১৮:১১ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:১৮:১১ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

বদরগঞ্জে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ দিনে ১৭ গবাদিপশুর মৃত্যু

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৫:৩৪:৫১

বদরগঞ্জে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ দিনে ১৭ গবাদিপশুর মৃত্যু

রংপুর ব্যুরো: অনেক স্বপ্ন নিয়ে নিজের পুঁজি ও এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্ধ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশি বিদেশি নানান জাতের গরু কিনে খামার করেছিলেন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমান পুর সরদারপাড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ওবায়দুল হক সরদার। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন মাটিতে মিশে যায় আফ্রিকান ভাইরাস থ্যালেরিয়া এসিস ও প্রোটোজোয়া ডিডিজ নামের বিরল একটি রোগের কারণে। সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ দিনের ব্যবধানে তার খামারের ১৭টি গরু মারা যায়। গরুগুলো দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা আসেন। কিন্তু উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভ্যাটেনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ এলাকার লোকজন। তারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আজমল হুদার তপনের বিরুদ্ধে।

২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ওই এলাকায় গেলে খামারি ওবায়দুল হক সরদার বলেন, আমার ছয়টি গরু মারা যাওয়ার পরে রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামার দেখতে এসেছিলেন এবং ওষুধের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নিয়ে আসার পরেও বাকি ১১টি গরুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সঠিক সময়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিলে গরুগুলোকে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলে মনে করেন খামারি ওবায়দুল হক সরদার।

অন্যান্য খামারিরা বলছেন, আগে এই খামারটি পরিপূর্ণ ছিল এখন শূন্য হয়ে গেছে। ৬ দিনের ব্যবধানে এতগুলো গরু মারা যাওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। এর আগে আমরা এখানে এসে পরামর্শ নিতাম। কিন্তু তার এমন দশা হবে, এটা আমরা কখনও ভাবি নাই। আমরা চাই, এই খামারিকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হোক।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আজমল হুদা তপন বলেন, প্রথমে আমাদের কাছে আসে নাই, এলাকার হাতুরি ডাক্তার দেখিয়ে ভুল চিকিৎসার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। মৃত্যুর সময় আমাদের ডাকে তখন আর চিকিৎসা করেও বাঁচানো সম্ভব হয় না। গ্রামের হাতুরি ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে ভুল চিকিৎসার পথ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে খামারিরা।

সরকার গবাদিপশু রক্ষায় নানান প্রজেক্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু অসাধু ডাক্তারদের কারণেই খামারী ও গবাদি পশুর মালিকরা সঠিক সেবা না পেয়ে তাদের স্বপ্ন মাটিতে মিশে যাচ্ছে। তাই এলাকার লোকজনের দাবি দ্রুত অসাধু ডাক্তার ও ভ্যাটানিক সার্জনদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া। যাতে করে ছয় দিনের ব্যবধানে ওবায়দুল হক সর্দারের মত আর কোন খামারি বা কোন কৃষকের গরু মারা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান এলাকাবাসীর। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ