• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:৫০:৩৭ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৮:৫০:৩৭ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

আশুলিয়ার রাজা-বাদশা মার্কেটে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ০৯:৩৪:০০

আশুলিয়ার রাজা-বাদশা মার্কেটে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার: সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার নিয়ম-নীতি। নিয়ম অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কান্দাইল রাজা-বাদশা মার্কেটে মালিকের যোগসাজশে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।

১৭ সেপ্টেম্বর রোববার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়ার নরসিংহপুর, জিরাবো, সরকার মার্কেট, জামগড়া, চিত্রশাইল, ইউসুফ মার্কেট ও কান্দাইল রাজা-বাদশা মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।

এর আগে জামগড়ার তেতুলতলা ও কাঠগড়া এলাকায় এক বোতল থেকে অন্য বোতলে গ্যাস রিফিল করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে অনেকে মানছেন না কোনো নিয়ম-নীতি। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

নিয়ম অনুযায়ী, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুত স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধানও রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ম অনেকেই মানছে না। এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এরকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে আশুলিয়ার কান্দাইলের রাজা-বাদশা মার্কটে মুদি দোকানদার হাফিজুল ইসলাম তার মুদি দোকানের সামনে ১০টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সারি করে সাজিয়ে রাখলেও তার পাশের রুমগুলোতে মজুত রেখেছেন শত শত গ্যাস সিলিন্ডার।

এ ব্যাপারে দোকান মালিক হাফিজুল অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রায় একবছর ধরে এভাবে সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি। আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর অন্য কোনো কাগজপত্র নেই। এক্ষেত্রে আমার নিয়ম-কানুন জানা নেই।

প্রথমে রাজা-বাদশা মার্কেটের মালিক রাজা মিয়া এসে সাংবাদিকদের সাথে উগ্র আচরণের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তার আপন ভাই বাদশা মিয়ে ভুল স্বীকার করে তিনি বলেন, ১০টির অধিক সিলিন্ডারের ব্যবসা করতে হলে খোলামেলা জায়গা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বিস্ফোরক ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স প্রয়োজন এগুলো আমি জানি না, জানলে আমি তার কাছে রুম ভাড়া দিতাম না। হাফিজুলকে এখান থেকে বোতলগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি।

পার্শ্ববর্তী এলাকার হারুন-অর-রশিদ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে লাইসেন্স হাতে পাবো। এছাড়া তার কাছে অন্য কোনো লাইসেন্স নেই বলে সে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ডি-ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজিং ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম বলেন, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যেহুতু আমি দেখিনা সেহেতু কিছু বলতে পারছি না। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সিলিন্ডার মজুত করা যাবে না। মজুত করতে হলে খোলামেলা জায়গা লাগবে, যাতে পরিবেশটা ঠান্ডা থাকে। আর সাময়িকভাবে ফায়ার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরির্শক সানজিদা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, কেউ যদি ১২৫ কেজির উপরে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করে রাখে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। আমাদের এখানে কেউ যদি ইনফর্ম করে তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিবো।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ