• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ১২:৫৭:২০ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ১২:৫৭:২০ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রামুতে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ০৯:১৭:৩৮

রামুতে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, গ্রেফতার ১

রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামুতে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব-১৫। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫-এর একটি আভিযানিক দল জেলার রামু থানাধীন ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ির পিছনে দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরীএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধির ফলে সন্ত্রাসীদের কারা এসব অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকে, তা নিরূপণ ও অস্ত্রধারীদের তৎপরতা নির্মূলের লক্ষে অনুসন্ধান ও অভিযান বৃদ্ধি করে র‌্যাব-১৫। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ডিজিএফআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ির পিছনে দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাব সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায়।

র‌্যাবের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চক্রের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পলায়নকালে ধাওয়া করে র‌্যাব অস্ত্র তৈরির কারিগর আনোয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আনোয়ার রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের খুরুলিয়ার মুছা আলীর ছেলে।

এসময় সেখান থেকে ১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরি একনলা শিসা বন্দুক, ১০ রাউন্ড এমজির গুলি, ৫০ রাউন্ড এসএমজির গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খালি কার্তুজ, ১৫টি শিসা, ১টি ছেনি, ১টি হাতুড়ি, ১টি বাইশ, ২টি রেত, ১টি প্লাস, ৫টি সুপার গ্লু গাম, ৫০ গ্রাম বারুদ এবং ১৫০টি বিয়ারিং বল উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার, তার চক্রের অন্যান্য তিনজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আনোয়ার আরও জানান, তিনি ও পলাতক আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি এবং তা বিভিন্ন অপরাধী চক্রের নিকট সরবরাহের সাথে জড়িত রয়েছেন। তারা তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ির পিছনে পাহাড়ের পাদদেশে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো স্থানে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করে থাকেন।

আনোয়ারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য আসামীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ