• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৩১:২৩ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৩:৩১:২৩ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

রামপালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

৩০ আগস্ট ২০২৩ সকাল ১০:০৭:৫০

রামপালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। আয়ের সাথে ব্যয়ের সংগতি না থাকায় দিন দিন বাজারগুলোতে কমে আসছে ক্রেতা সংখ্যা। বাজারে মালামালের সরবরাহ ঠিক থাকলেও দিগুণ-তিনগুণ দামে নিত্যপণ্য কিনতে পারছেন না তারা।

উপজেলার ফয়লাহাট, পেড়িখালী বাজার, ঝনঝনিয়া বাজার, কালিগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক শ্রেণীর মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা।

ফয়লা বাজারের কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, খুলনার মোকাম থেকে গত কয়েক মাস ধরে দিগুণ-তিনগুণ দামে তরিতরকারি কিনতে হচ্ছে। এতে আগের মতো আমাদের বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। দাম শুনে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। খুচরা বাজারে আমরা আগের মতো ক্রেতা ধরে রাখতে পারছি না। একই কথা বলেন, ভাগা বাজারের রোকন শেখ, শ্রীফলতলা বাজারের আনার শেখ, রামপাল সদরের ফারুক, শহীদ, নূরজামাল ও পেড়িখালী বাজারের মাহামুদ শেখ।

দিন মজুর খলিল বলেন, প্রতিদিন ২/৩ শ টাকা আয় করি। সবদিন আবার আয় হয় না। ৫ জনের সংসার। দুইটি ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। আমার সংসার চলছে না। একই কথা বলেন আসগর, মোন্তাজ মোল্লাসহ অনেকে।

রামপাল সদরের মুদি ব্যবসায়ী নূর ইসলাম জানান, মোকামে গিয়ে তিনগুণ দামে পণ্য কিনে আনার পর তা বিক্রির সময় ক্রেতাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়।

গত কয়েকদিনে এখানকার বাজারগুলোতে সরু চালের পাশাপাশি মোট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, সরু চাল ৭০ থেকে ৮৫ টাকা, খোল আটা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত ৭০ টাকা, সয়াবিন খোলা তেল ১৫০, বোতলজাত ১৭৯ টাকা ও শরিষার তেল খোলা ২৪০ টাকা এবং বোতলজাত ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আলু ৪৫, বেগুন ৭০, কুমড়া ৩০, ঢেঁড়শ ৪০, পেঁপে ২০, কুশি ৪০, পটল ৩০, ঝিঙা ৩৫, চাল কুমড়া পিস ২০ টা, কাচা মরিচ ১৬০ টাকা ধরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রামপাল উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম, এ সবুর রানা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর এবং জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত বাজার তদারকি করলে এবং নজরদারী বৃদ্ধি করলে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হতো। তিনি বাজার সিন্ডিকেটকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি করেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ