• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৭:৩২ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৭:৩২ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

ভারতে ৩ বছর জেল খেটেও মুক্তি মেলেনি ৬ জেলের

২৯ আগস্ট ২০২৩ বিকাল ০৫:৪৮:০৬

ভারতে ৩ বছর জেল খেটেও মুক্তি মেলেনি ৬ জেলের

২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারগার

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বাংলাদেশি ১টি মাছ ধরার ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে। ট্রলারে থাকা ৬ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে ভারতীয় বন বিভাগ। পরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দিয়ে তাদের পুলিশের সোপর্দ করা হয়। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায়। আদালত ঐ ৬ জেলেকে ৩ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট ঐ সাজার মেয়াদ শেষ হলেও এখনও মুক্তি মেলেনি আটক জেলেদের। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাড়ইপুর কারাগারে এখনো দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন তারা।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে তৌহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন এফ.বি. মারিয়া নামের ১টি ট্রলার ৬ জেলেকে নিয়ে মাছ শিকারের জন্য গভীর সমুদ্রে যায়। কয়েক ঘণ্টা চলার পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি স্রোতে টানে ভেসে দেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে চলে যায়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতের বন বিভাগ কর্মীরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অপরাধে ৬ জেলেকে ট্রলারসহ পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারগারে পাঠায়। ভারতীয় একটি ফোন নম্বর থেকে কল করে ট্রলারটির মালিক তৌহিদুল ইসলামকে জেলেদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়। পরে একই বছর ১৫ জানুয়ারি ঐ ট্রলারটির মালিক তৌহিদুল ইসলাম নিখোঁজ ৬ জেলের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বরগুনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দেন। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসেও বিষয়টি জানানো হয়, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। জেলেদের ফিরিয়ে নিয়ে না আসায় তাদের পরিবার রয়েছে উৎকণ্ঠায়।

ভারতের কারাগারে বন্দি জেলেরা হলেন- পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার মো. বেল্লাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুকচরদুয়ানী গ্রামের মো. এমাদুল হক, একই এলাকার মো. শাহিন, জ্ঞানপাড়া গ্রামের আবদুল হক ও পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার চরখালী এলাকার ইমরান হোসেন।

জেলে শাহিনের মা আয়শা বেগম বলেন, আমার স্বামী হাফেজ জোমাদ্দার ২০১২ সালে সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত হন। পরিবারের হাল ধরতে শাহিন সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এখন ভারতে বন্দি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সাগরে যাওয়ার সময়ে ওর বয়স ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। তিন বছর ৮ মাস ধরে সন্তানের পথের দিকে তাকিয়ে আছি। স্বামীর শোকের সঙ্গে ভিনদেশে বন্দি সন্তানের কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটছে আমার। আল্লার কাছে চোখের পানি ফেলে ওর জন্য কান্দি। কবে বাবা আমার বুকে আইবে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতে আটক বাংলাদেশি জেলেদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কোন সহযোগিতা না করায় চাইলেও জেলেকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। সম্প্রতি আমাদের ১জন প্রতিনিধি ভারতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসে বিষয়টি জানাবেন, পাশাপাশি আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন আমাদের সময়কে বলেন, বাংলাদেশি ৬ জেলেকে ফিরিয়ে আনতে ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ১জন প্রতিনিধি এখন ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ঐ জেলেদের মামলা ও আদালতের রায়ের কাগজপত্র নিয়ে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যাবেন। দূতাবাসের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ঐ ৬ জেলেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ