• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:১৯:৪২ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:১৯:৪২ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নওগাঁয় ধর্ষণ মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৮ আগস্ট ২০২৩ রাত ০৯:০৬:৫৮

নওগাঁয় ধর্ষণ মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালত। ২৮ আগস্ট সোমবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের শ্রী কাজল মালী এবং পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে হ্যাপি।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আসামী হ্যাপি পলাতক রয়েছেন।

আসামী কাজল মালীর পক্ষে অ্যাডভোকেট সোমেন্দ্র নাথ কুন্ডু এবং রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন। অপরদিকে আসামী হ্যাপির পক্ষে এস.এম সারোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী ছিলেন মো. মকবুল হোসেন।

আদালতে মামলা সূত্রে জানা যায়- গত ২০২০ সালের ২৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী তার বাড়ির পিছনে শুকনো পাতা ঝাড়ু দিতে যান। এসময় একই গ্রামের কাজল মালী পিছন দিক থেকে জাপটে ধরে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার শয়ন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামী ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ধার্য্য হলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীকে দণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।

অপরদিকে গত ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি পোরশা থানার এক মাদ্রাসা ছাত্রী তার নানীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাশিতাড়া এলাকার হারুন শাহের আমবাগানে নিয়ে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তার নানাকে খবর দেয়। পরে নানা এসে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। ছাত্রীর নানা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতে চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শ্রবণ করা হয়। আসামী পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এস.এম সারোয়ার হোসেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে দণ্ড ও জরিমানা প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন আদালতের বিচারক। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ