• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩৯:৪৫ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ ভোর ০৫:৩৯:৪৫ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ব্যাংক ও বীমা

নীলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা যাদুরহাটেই রাখার দাবি

২৩ আগস্ট ২০২৩ সকাল ১০:৫২:৪৫

নীলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা যাদুরহাটেই রাখার দাবি

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যাদুরহাট শাখাটি হঠাৎ করে রাতের আঁধারে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাবরীঝাড় নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিচে একটি রুমে ব্যাংকের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিষয়টি মানতে পারছেন না যাদুরহাটের বাসিন্দারা। তারা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যাদুরহাট শাখাটি আগের স্থানেই ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

যাদুরহাটবাসীর দাবি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যাদুরহাট শাখায় হাজার হাজার গ্রাহক লেনদেন করেছিলেন সচ্ছতার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু কিছু অসাধু মানুষের চক্রান্তে হঠাৎ করে রাতের আঁধারে ব্যাংকটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাবড়ীঝাড় স্কুলে। ব্যাংকটি বাবড়ীঝাড় যাওয়ায় যাদুরহাট এলাকার ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধীসহ হাজার হাজার মানুষ অসুবিধা ও দুর্ভোগে পড়েছেন।

জানা যায়, ব্যাংকটি ১৯৮৯ সাল থেকে যাদুরহাটে সুনামের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাই স্থানীয়দের দাবি, ব্যাংকটি আবারো যাদুরহাটেই ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেন, ব্যংকের কার্যক্রম চালাতে গেলে এখন আমাদের ফ্লাট দু’তলা ভবন লাগবে। সেটি জানার পর ব্যাংকের জন্য যাদুরহাটের স্থানীয় লোকজন মনোরম পরিবেশ ও নিরাপত্তা বেষ্টিত দু’তলা ফ্লাট নির্মাণও করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তা বেষ্টিত ফ্লাট রেখে ব্যাংকের শাখাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এ বিষয়ে চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল্যাহ মিয়া বলেন, যাদুরহাট কৃষি ব্যাংটি সুনামের সঙ্গে ১৯৮৯ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। রাতের আঁধারে হঠাৎ করে কিছু অসাধু কর্মচারী-কর্মকর্তা ব্যাংকটি বাবড়ীঝারে নিয়ে গেছেন। যাদুরহাটে দু’তলা ভবন থাকা সত্ত্বেও, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে ব্যাংক চলে, এটা আজব ব্যাপার। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের জোর দাবি, যাদুরহাটেই ব্যাংকটির কার্যক্রম চালাতে হবে।

৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুর রহমান ক্ষোভের কণ্ঠে বলেন, ব্যাংকটি রাতে হঠাৎ করে অন্যত্রে চলে গেলো, আমরা স্থানীয় লোক কেউ জানি না। যাদুরহাটে ব্যাংকটি ৩৪ বছর থেকে আছে সুনামের সঙ্গে। ব্যাংকের জায়গার জন্য আমরা দু’তলা ফ্লাট বানিয়েছি। তবুও তারা এখান থেকে চলে গেলো কিছু অসাধু মানুষের চক্রান্তে। আমাদের দাবি, যাদুরহাটেই ব্যাংক থাকতে হবে।

স্থানীয় ব্যক্তি আসাদুল ইসলাম ও মাহবুল ইসলাম বলেন, যাদুরহাটে ব্যাংকটি অনেক নিরাপত্তার মধ্যে ছিল। এখন যেখানে গিয়েছে বাবড়ীঝাড় স্কুলে, সেখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। যাদুরহাটে দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সঙ্গে চলেছে ব্যাংকের কার্যক্রম। আমরা আবারো কৃষি ব্যাংকটি যাদুরহাটে ফিরে পেতে চাই।

স্থানীয় প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম বলেন, যাদুরহাটে সুনামের সঙ্গে ব্যাংকটি চলেছে। এখন হঠাৎ করে বাবড়ীঝাড় স্কুলে চলে গেছে ব্যাংকটি। স্কুল হলো লেখাপড়ার জায়গা, কিন্তু সেখানে কীভাবে ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যাংকটি আবারো যাদুরহাটে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, যাদুরহাটে টিনশেড ঘর হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়ে বাবড়ীঝাড়ে আনা হয়েছে। তবে যাদুরহাট শাখা নামেই চলবে। স্কুল কমিটি ভাড়া দিয়েছে বলেই সেখানে কার্যক্রম চলছে।

জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে কোনো ব্যাংক চলতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ