• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১২:৩১:২৬ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ১২:৩১:২৬ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

গোপালপুরে লাম্পিতে মারা যাচ্ছে গরু, দিশেহারা খামারীরা

১ আগস্ট ২০২৩ বিকাল ০৪:৪৮:২৭

গোপালপুরে লাম্পিতে মারা যাচ্ছে গরু, দিশেহারা খামারীরা

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ। নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বাছুর গরু। উপজেলার হেমনগর, ঝাওয়াইল, হাদিরা, নগদা শিমলা ইউনিয়নে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এবার ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট একটু ভিন্ন হওয়ায়, বাছুর গরুর আক্রান্তের হার বেশি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

৩০ জুলাই রোববার নগদা শিমলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জানা যায়, বিগত সপ্তাহে চাঁনপুরের প্রবাসী আব্দুল কাদের, বনমালী পূর্বপাড়ার শাফি, চরচতিলার আম্বিয়া বেগম ও আনোয়ার হোসেন, জোতবাগলের নজরুল সুতার ও আল আমিনের একটি করে গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

উত্তর বিলডগা গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার গরুও কিছুদিন আক্রান্ত হয়েছিলো, নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায়, পরিচিত একজন প্রাণি চিকিৎসককে দিয়ে ৬ হাজার টাকার চিকিৎসা করিয়ে শেষে আশা ছেড়ে দেই, পরে ভুঞাপুরের এক প্রাণী চিকিৎসকের চিকিৎসায় আমার গরু সুস্থ হয়। আমাদের গ্রামে অনেক গরু আক্রান্ত, কয়েকদিন আগে আমার বোন-জামাইয়ের গরু মারা গেছে।’

বনমালী গ্রামের সুমন মিয়া বলেন, ‘একজন প্রাণি চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়নি। চারিদিকে গরু মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি, জানি না আমারটার কী হবে।’

উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঝাওয়াইল ইউনিয়নের যতগুলো খামার বা গোয়ালে গিয়েছি ফিফটি পার্সেন্ট গরু আক্রান্ত দেখেছি, এখন পর্যন্ত আটটি গরু মারা যাওয়ার খবর শুনেছি।’

লাম্পি স্কিন ডিজিজের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর উঠান বৈঠকের মাধ্যমে রোগটি সম্পর্কে কৃষক ও খামারীদের সচেতন করা হচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীকে পরিষ্কার স্থানে আলাদাভাবে মশারীর ভেতর রাখতে বলা হচ্ছে, ভিটামিন সি ও খাবার সোডা খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরীফ আব্দুল বাসেত জানান, শুধু গোপালপুরে নয় সারাদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ গরু লাম্পিতে আক্রান্ত, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আগে বড় গরু আক্রান্ত বেশি হলেও এবার বাছুর আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। কিছু খামারী প্রথমেই পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায়, এদের ভুল চিকিৎসার কারণেও মৃত্যুহার বাড়ছে।  আপাতত গোট পক্সের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে, চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি টিকার সাপ্লাই কম বলে জানান তিনি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ