• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:৪৭:৩৮ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:৪৭:৩৮ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

গাইবান্ধার সাঘাটায় আকস্মিক বন্যা

১৯ জুলাই ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫:২৮

গাইবান্ধার সাঘাটায় আকস্মিক বন্যা

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আকস্মিক বন্যায় সাঘাটা উপজেলায় ২ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে যমুনার তীরে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  

জানা যায়, ভারতের বন্যার প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সম্প্রতি গাইবান্ধার যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ও সাঘাটা  ইউনিয়নে নিম্নাঞ্জল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যায় রূপ নিয়েছে। এতে আবাদি ফসল পাট ও জমির ক্ষতি হয়েছে; পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গনের আশঙ্কা। স্থানীয়রা ভাঙ্গন আতঙ্কে বসতবাড়ি নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিচ্ছেন। হুমকির মূখে রয়েছে হলদিয়া ও সাঘাটা  ইউয়িনের ৬ টি গ্রামের ২ হাজার পরিবার। গত ৪ বছরে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। এক যুগ ধরে যমুনা নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবজাপন করছে।

এদিকে, ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি থেকে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী-হলদিয়া পর্যন্ত  ১০ কিলোমিটার অংশের ৩৮টি পয়েন্টে ৭৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৩০ শতাংশ। কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে আসন্ন বর্ষায় নদীভাঙন ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ।

পানি উন্নয়ন র্বোড ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে সাঘাটার মুন্সির হাট গ্রামে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করলেও হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামে কাজ না করায় হুমকির মূখে রয়েছে হলদিয়া ইউয়িনের ৬ টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবার।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, বাঁশহাটা পয়েন্টে জরুরি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। কাজের ধীরগতির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ মেট্রিকটন জিআর চাল বন্যার্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান; এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৩০ শতাংশ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে হলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ব্লক ডাম্পিং কাজও করা হবে, নিয়ম মাফিক গতিতেই কাজ চলছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ