• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ রাত ১০:৪৯:২৭ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ রাত ১০:৪৯:২৭ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ পদে বসাতে জামায়াত নেতার দৌড়ঝাঁপ

২৬ জুন ২০২৫ বিকাল ০৫:৫৭:১৩

হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ পদে বসাতে জামায়াত নেতার দৌড়ঝাঁপ

মো. হানিফ মেহমুদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ: গত ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামি এজাবুল হক বুলি।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির হত্যায় কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কলেজে উপস্থিত না হলেও বেতন তুলেছিলেন নিয়মিতই। এদিকে, দীর্ঘ অনুপস্থিতির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমন অবস্থায় ওই পলাতক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাবুল হক বুলি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে হঠাৎ উপস্থিত হয়েছেন কলেজে।

অভিযোগ উঠেছে, তাকে স্বপদে বসাতে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। সেই আওয়ামী লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ হিসেবে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। এমনকি এ নিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে সভাও করেছেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এসময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সকলের উপস্থিতিতে কয়েকজন শিক্ষককে উচ্চস্বরে ধমকও দেন তিনি।

কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে এ মামলায় জামিন পান এজাবুল হক বুলি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই ২৫ জুন বুধবার কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

সভা চলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ধমকও দেন সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। এসময় তিনি তার কথামতো কমিটি গঠন করে চলার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা ও শিবির হত্যা মামলার আসামিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বাধায় বসাতে জামায়াত নেতার এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষকরা।

কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সভা শেষে বের হওয়ার সময় জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান বলেন, এ নিয়ে এ কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে। তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। আওয়ামী লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বাসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান।

এ নিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয়, তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন। দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








ডিএমপিতে ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তার রদবদল
২৬ জুন ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৭:৩৯