বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে ততই বাড়ছে বেচাকেনা। এ বছর কিছুটা কম দামে পছন্দের পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে পশু পালনে খরচ বেশি হলেও আশানুরূপ দামে পশু বিক্রি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ ব্যাপারীদের।
সরেজমিনে উপজেলার, বকশীগঞ্জ বাজার, নঈমিয়ার বাজার, দাশের বাজার, কামালের বার্তী বাজার, জব্বারগঞ্জ বাজার, বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার হাটে দেশি গরুর সরবরাহ বেশি। অনেক খামারি তাদের খামারের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি প্রায় ১০-১৫ হাজার এবং প্রতি ছাগলে ২-৩হাজার টাকা কম।
খামারিরা বলেন, ‘একটা গরু বড় করতে আট-দশ মাস লেগে যায়। খাবার, ওষুধ, পরিচর্যা সব মিলিয়ে অনেক খরচ। এখন হাটে এসে দেখি, যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচই ওঠে না।’
কামাল বার্তী এলাকার গরু বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার মানুষের হাতে টাকা নাই। মানুষ আলু ও মরিচ করে লস খেয়েছে। তাই এবার গরুর দাম নাই। গতবার চার মণ ওজনের যে গরু বিক্রি করেছি ৯০-৯৫ হাজার এবার ওই গরু বিক্রি করলাম ৮০ হাজার টাকায়।’
এদিকে গত বছরের তুলনায় কম দামে পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
আলাল মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘গত বছর যে গরু ১ লাখ ও ৯০ হাজার টাকা দাম ছিল সেই গরু এবার ৭০-৭৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমি এবার গরুটি নিয়েছি ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায়। সেটির মাংস ১০০ কেজি হবে বলছে গরু বিক্রেতা। আমার ধারণা ৯০-৯৫ কেজি মাংস হতে পারে। এতে আমি খুশি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বকশীগঞ্জ উপজেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫৭৪২, সে জায়গায় পশু লালনপালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ১১৭৮৪ টি। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৬০৪২ টি পশু বেশি রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সাদিয়া আফরিন জানান, এবার ঈদে খামারের সংখ্যা ১১৯৪ টি, ষাঁড় গুরুর সংখ্যা ৩৪৮৯টি, বলদ গুরুর ২৬টি, গাভি গুরুর সংখ্যা ৭৯১ টি,সর্বমোট গাভি সংখ্যা ৪৩০৬ টি। মহিষ সংখ্যা ১১৭টি,ছাগলের সংখ্যা ৬৬৩৩ টি, ভেড়ার সংখ্যা ৭২৮ টি,সর্বমোট পশু১১৭৮৪টি । তবে পাইকারের সংখ্যা বাড়লে পশুর দামও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলার প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম মোতায়েন করা হয়েছে একই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও সচেতন করা হচ্ছে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, “হাটে যেন নির্ধারিত খাজনা থেকে বেশি আদায় করা না হয় সেজন্য সব ইজারাদারদের নির্দেশ দেওয়া আছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার মনিটরিং করছেন। এছাড়া হাটে জাল টাকার নোট শনাক্ত করার ব্যবস্থা, হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available