• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:০৬:৪৩ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১১:০৬:৪৩ (09-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

শিশু বায়েজিদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল পলাশবাড়ি

১৫ মে ২০২৩ বিকাল ০৩:৩০:৫১

শিশু বায়েজিদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল পলাশবাড়ি

মাসুম লুমেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় শিশু আবদুল্লাহ ওরফে বায়োজিদকে (৪) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা পলাশবাড়ি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেছে এলাকাবাসি। নিহত শিশু বায়েজিদ একই উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বালুখোলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর ছেলে।

১৪ মে রোববার বিকেলে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বালুখোলা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি।

বক্তারা বলেন, দিন দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে একটি শিশুকে অপহরণ করে হত্যা করেছে খুনিরা। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সিরিকুলের ছেলে রোস্তম আলী, বিদ্যুৎ, সোহাগ, ববিতা বেগম, এরা সবাই বায়েজিদকে হত্যার সাথে জড়িত। তারা এতটাই পাষণ্ড যে, একটি নি:ষ্পাপ শিশুকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছে। যারা বায়েজিদকে এভাবে হত্যা করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসি ছাড়াও আশপাশের গ্রামের শতাধিক নারী, পুরুষ অংশ নেন। বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পযর্ন্ত চলে এ মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  

প্রসঙ্গ, ৮ মে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু বায়েজিদ। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ওইদিনই পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়। পরে রাতে পুলিশ এসে বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে।

পরদিন ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে পলাশবাড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা রায়হানা বেগম। এরপর ১৩ মে শনিবার নিখোঁজের ৫দিন পর পলাশবাড়ি উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের নিহতের বাড়ি থেকে ৫'শ গজ দূরে একটি ধান ক্ষেত থেকে বায়েজিদের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা সন্দেহভাজন সিরিকুলের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন সিরিকুল ছাড়া পরিবারের সাত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই মূল হত্যাকারীকে সনাক্ত করা যাবে। 
 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ