• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৭শে আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১০:১১:৪৭ (12-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৭শে আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১০:১১:৪৭ (12-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সৈয়দপুরে চাষ হচ্ছে বেগুনি রঙের ধান

১২ এপ্রিল ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:০১:০৮

সৈয়দপুরে চাষ হচ্ছে বেগুনি রঙের ধান

মোঃ মাইনুল হক, নীলফামারী প্রতিনিধি: হটাৎ দেখে মনে হবে প্রকৃতির সবুজ ক্যানভাসে বেগুনি রঙের তুলির আচড় কেটেছে কেউ। সচরাচর আমরা সবুজ রঙের ধানক্ষেত দেখেতে অভ্যস্ত। কিন্তু এ যেন এক অন্যরকম ধানের ক্ষেত। প্রথম দেখায় যেকেউ বিস্মিত হবেন। সবুজের মাঝখানে যেন বেগুনি রঙের গালিচা!

নীলফামারী জেলায় প্রথমবারের মতো বেগুনি ধান চাষ করছেন সৈয়দপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু। অনেকেই এই ব্যতিক্রমী ধানের সাথে পরিচিত নন। সবুজ ধানক্ষেতের মাঝে বেগুনি রঙের অপ্রচলিত এই ধান আবাদের ফলে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কৃষক ও সাধারণ দর্শণার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করছেন শফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেগুনি ধান দেখার জন্য। আশপাশের অনেকেই অবাক হয়েছেন এ বেগুনি রঙের ধান ক্ষেত দেখে।

সরেজমিনে কৃষক শফিকুলের বেগুনি ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে আমন ধান। মৃদু বাতাসে মাঠে দোল খাচ্ছে শিষসহ ধান গাছগুলো। দূর থেকে মনে হয় যেন ঢেউ খেলছে। বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠের মাঝখানে শোভা পাচ্ছে বেগুনি রঙের ধান ক্ষেত। এই বেগুনি রং প্রকৃতিতে যোগ করেছে এক নতুনমাত্রা।

আলাপচারিতায় কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, শুনেছি এই ধান নাকি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য উপকারী। নেত্রকোনায় বন্ধুর  বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বন্ধুকে বেগুনি রংয়ের ধান চাষ করতে দেখে প্রথমে অবাক হই। সেখান থেকেই এ ধানের বীজ সংগ্রহ করেছি।

এই ধান কীভাবে চাষ করতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জমিতে বীজ রোপণের পর নিয়মিত সার ও পরিচর্যা করেছি। দ্রুত ফলন দেয়ায় এই জাতের ধানে রোগ বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। গাছ শক্ত হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতেও হেলে পড়ার সম্ভাবনা কম। আশা করছি অন্য ধানের তুলনায় এই ধানে ফলন বেশি পাওয়া যাবে। আগামী বৈশাখ মাসে ধান পাকলে তখন কাটা শুরু করবো। যদি ফলন ভালো হয় তবে আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই ধানের চাষ করবো- আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে এমনটাই বললেন কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবু।

২৫ শতকের জমিতে এ ধান রোপণ করা হয়েছে। রোপণের পর থেকে ধান পাকতে সময় লাগে ১৪০-১৫০ দিন। অন্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের গোছা প্রতি কুশির পরিমাণ বেশি থাকায় একর প্রতি ফলনও বেশ ভালো। প্রতি একরে ৫৫ থেকে ৬০ মণ ফলন আসে এ ধানে। অন্য জাতের ধানের তুলনায় এই ধান কিছুটা মোটা, তবে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি এমনটাই বলেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, এই ধানের চালের ভাত খেতে বেশ সুস্বাদু।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ