• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ১২:০২:৪৭ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ১২:০২:৪৭ (25-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

লালমোহনে অর্ধশত বছরের পুরনো জামে মসজিদে আযান ও নামাজ বন্ধ!

২০ মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৪:১৮:৫০

লালমোহনে অর্ধশত বছরের পুরনো জামে মসজিদে আযান ও নামাজ বন্ধ!

মো. জসিম জনি, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে প্রায় অর্ধশত বছর আগের নির্মিত জামে মসজিদে গত দেড় মাস ধরে আযান ও নামাজ পড়া হচ্ছে না। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চতলা গ্রামের আব্দুর রহমান ভূঁইয়া বাড়ীর দরজার মসজিদটি এখন বন্ধ রয়েছে।  

সরেজমিন ও স্থানীয় মুসল্লিদের সূত্রে জানা যায়, চতলা গ্রামের মো. সোনা মিয়া, কালা মিয়া, ওমর মিয়া ১৯৮০ সালে  মসজিদের নামে ৩২ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। মসজিদের নামে জমি দিলে ওই জমিতে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করে পাঁচ ওয়াক্ত  আযান ও নামাজ আদায় করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লরীরা।

দীর্ঘ  ৪৩ বছর পর জমিদাতা  মো. সোনা  মিয়ার মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার ছেলে মো.সায়েদুল হক ভূঁইয়া মসজিদের ভোগ দখলীয় জমি ও পুকুর দাবি করেন। এতে মসজিদের মুসল্লিদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের জের ধরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই মসজিদে আযান, নামাজ (জুমার নামাজসহ) পড়া হয় না। বন্ধ রয়েছে অর্ধশত বছরের  জামে মসজিদটি।

মসজিদে নামাজ না পড়ার ব্যাপারে  কমিটির অর্থ সম্পাদক (ক্যাশিয়ার) মো. মহিব উল্যাহ ও স্থানীয়  মুসল্লি  আনা উল্যাহ,  আলা উদ্দিন, মো. কবির, মো. জাফরসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ  প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মসজিদে আমরা এলাকাবাসী নামাজ পড়ে আসছি। জমি দাতার ছেলে ছায়েদুল হক ভূঁইয়া হঠাৎ মসজিদের ভিটা ও পুকুর রেকর্ড করে এনে নিজের দাবি করতে থাকে।

মসজিদের এড়িয়ার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। পুকুরে ওজু করতে গেলে মুসল্লিদের  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাই আমরা এলাকাবাসী ও মুসুল্লিরা ধর্মীয় মাওলানা ও মুফতির নিকট মাসালা জানতে পারি যে ‘কোন মালীকানার জমিতে নির্মিত মসজিদে নামাজ, জুমার নামাজ পড়লে তা  হবে না’। তাই আমরা গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই মসজিদে আযান ও নামাজ  আদায় করছি না।

এ বিষয় ছায়েদুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি ওই মসজিদে নামাজ পড়ি না। মসজিদের জমি দাবি ও দখল করিনি। আমার জমি আমি দাবি করেছি। এবিষয় নিয়ে শালিস ও হয়েছে কয়েকবার।

লালমোহন থানা ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই এলাকা থেকে আমাকে ফোন করে অবগত করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।

 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ