• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:০৩:১৭ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:০৩:১৭ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

রামুতে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

৬ মার্চ ২০২৩ দুপুর ০২:২৮:৪৯

রামুতে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মো. নুরুল হক সিকদার, রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সতিন্দ্র কুমার ধরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, রাজারকুল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮-৯ গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন ইউপি সচিব সতিন্দ্র কুমার ধর। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য রাজারকুল ইউনিয়নে তিনি তৈরি করেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিজনের কাছ থেকে নিচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এ বিষয় নিয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করলেও সচিব কোনো কর্ণপাত করছেন না।

সতিন্দ্র ধর সপ্তাহে ৩-৪ দিন ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। এর ফলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ইউপি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনও মানুষের সচিবকে জরুরি প্রয়োজন হলে তার বাড়িতে গিয়ে কাজ করাতে হয়।

স্থানীয় জসিম উদ্দিন জানান, জন্ম নিবন্ধন করাতে সরকারি ফি ৫০ টাকা। সচিব আদায় করছেন ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা। কোনো মানুষ টাকা দিতে না পারলে তার কাজ ফেলে রাখা হয়। এছাড়া নিয়মিত অফিসে না আসায় জনগণ নানা ধরণের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  

ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী শিপ্ত বড়ুয়া জানান, আমি আজকে নিজের পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত কাজের প্রত্যয়ন ও বিশেষ প্রত্যয়নের জন্য গেলে প্রথমে দুটি প্যাডের জন্য সচিব সতীন্দ্র ৫০০ টাকা দাবি করেন। এই টাকা সরকারি ফিস কিনা জানতে চাইলে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। আমার দুটি বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতেই সচিবকে ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে। এরপর কম্পিউটার ও অনলাইন খরচ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সচিব সপ্তাহে মাত্র ৩-৪ দিন অফিস করেন। সচিব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি জন্ম নিবন্ধনে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। আমরা প্রতিবাদ করেও সুরাহা পাচ্ছি না। এছাড়াও এলজিএসপিসহ অন্যান্য বিভিন্ন কাজের বিল থেকেও সচিব টাকা কেটে রাখেন। প্রতিবাদ করলে বিল আটকে রাখেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সচিব সতিন্দ্র কুমার ধর বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
২৬ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮:১৩




শেষ হলো চারদিনব্যাপী ন্যাপ এক্সপো
২৬ এপ্রিল ২০২৪ বিকাল ০৫:৩৮:০৩