• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১০:৪০:২৬ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ১০:৪০:২৬ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

পাবনায় শতশত মানুষের সামনে শিক্ষককে পিটিয়েছেন ৩ দফতরি

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৪:১৯:০১

পাবনায় শতশত মানুষের সামনে শিক্ষককে পিটিয়েছেন ৩ দফতরি

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আরিফুজ্জামানকে শত শত মানুষের সামনে বেদম পিটিয়েছেন তিন দফতরি। এ ঘটনার বিচার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

এরআগে ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বালিয়াহালট স্কুল মাঠে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে শিক্ষক আরিফুজ্জামানকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রহৃত আরিফুজ্জামান সদর উপজেলার ৪০নং হেমায়েতপুর বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত তিন দফতরি হলেন- শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি সজিব (৩০), চকপৈলানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি বাপ্পী (২৮) এবং কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি রতন (৩০)।  

এ বিষয়ে শিক্ষক আরিফুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার তিনি সদর উপজেলার বালিয়াহালট স্কুল মাঠে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তিনি দক্ষিণ রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি সজিবকে খেলা শুরুর প্রান্তিক লাইন থেকে একটু দূরে সরে যেতে বলেন। এতেই দফতরি সজিব শিক্ষক আরিফুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিলে সজিব আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুসি লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে অন্য দুই স্কুলের দফতরি বাপ্পী ও রতন এসে সজিবের সঙ্গে যোগ দেন এবং তিনজন মিলে উপর্যুপরি কিল-ঘুসি ও লাথি মারতে মারতে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।

এমনকি দফতরিরা শিক্ষককে মারতে মারতে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা শবনমসহ অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষক আরিফুজ্জামান আরও উল্লেখ করেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এগিয়ে আসার পর তার সামনেই সজিব তার বুকে লাথি মারেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার ছুটির দিন শিক্ষকরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং অভিযুক্ত তিন দফতরির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা শবনমসহ সব উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক মির্জা আনোয়ারুল হক, একরামুল কবির মামুন, মো. জাকির হোসেন, মারুফ হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, এসব দফতরির অধিকাংশই রাজনৈতিক সুপারিশে নেওয়া হয়েছে। এজন্য তারা স্কুলে সবার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। অনেকে ভয়ে নীরবে সহ্য করেন।

এ বিষয়ে  জানতে পাবনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোছা. ফাতেমা খাতুনের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান, আমরা অভিযোগের বিষয়ে জানি, তদন্ত করে ব্যাস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মো. ইউসুফ রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসব দফতরি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বার্ষিক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়ে থাকে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাবসহ নানা অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক যা যা সম্ভব তা নেওয়া হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ









আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
১০ মে ২০২৪ সকাল ০৮:১৪:১০