• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১১:১০ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:১১:১০ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

নাটোরে জৈব সারে স্বপ্ন বুনছেন কৃষি উদ্যোক্তা রায়হান

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪:৫৫

নাটোরে জৈব সারে স্বপ্ন বুনছেন কৃষি উদ্যোক্তা রায়হান

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: কৃষিতে অধ্যয়ন শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি স্বপ্ন দেখতেন কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণে মৎস্য ও গরুর খামারের পর এবার গড়ে তুলেছেন জৈব সার তৈরির কারখানা। ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরি করেই এখন হয়ে উঠেছেন সফল একজন উদ্যোক্তা। পরিশ্রমী এই উদ্যোক্তার নাম আব্দুল মোত্তালেব রায়হান। তিনি নাটোরের লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পড়াশুনা শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষি খামার গড়ে তোলেন। তার কৃষি খামারে থাকা গরুর গোবর ফেলে না দিয়ে সেখান থেকে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা করেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ১ একর জায়গা ইজারা নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির কারখানা। এখন তার জৈব সার তৈরির কারখানায় নিয়মিত কাজ করেন অন্তত ৩০ শ্রমিক।

আব্দুল মোত্তালেব রায়হান বলেন, ‘প্রথমে আমার গরুর খামারের গোবর নামমাত্র দামে বিক্রি করে দিতাম। তারপরই পরিকল্পনা করলাম গোবরটা কাজে লাগানোর। সেখান থেকেই শুরু। এরপর বাণিজ্যিকভাবে সার উৎপাদন শুরু করি। এখন এটা বাণিজ্যিক আকারে রূপ নিয়েছে। এছাড়া বিষমুক্ত খাবার উৎপাদন করতে জৈব সারের বিকল্প নেই। কৃষিকাজে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানো দরকার। জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে পারলে মানুষের রোগবালাই কমে যাবে। আমার এখানে প্রতিদিন গড়ে খামারে ৩-৪ টন ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতিকেজি সার ১০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, লালপুর-গোপালপুর সড়কের বুধিরামপুর রাস্তার বামপাশে আশার আলো জৈব সার কারখানা লেখা সাইনবোর্ড ঝুলছে। ভেতরে কাজ চলছে। একদিকে গোবর ও অন্যন্য উপদান ঢেকে রেখে পচানো হচ্ছে। পরবর্তী কয়কটি ধাপে প্রস্তুত করা হচ্ছে ট্রাইকো কম্পোস্ট।

খামারে কাজ করছেন শরিফুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি এখানে কাজ করি। দেড় বছর আগে এখানে সার উৎপাদন শুরু করেছে। আমার মতো আর অনন্ত ৩০ শ্রমিক এখানে কাজ করে। এখানে কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে।’

লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘জৈব সার পরিবেশবান্ধব। জৈব সার মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। সারা দেশেই এখন রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য জৈব সার উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জৈব সার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ