• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৭:৩০:২১ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৭:৩০:২১ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

৫ম শ্রেণির মেয়ে ও মাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আদালতে স্বীকরোক্তি

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ০৯:৫৩:৩৯

৫ম শ্রেণির মেয়ে ও মাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আদালতে স্বীকরোক্তি

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি আসামিদেরও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৮নং আমলি আদালতে এ জবানবন্দি নেওয়া হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি দেওয়া আসামির নাম মেহরাজ উদ্দিন (৪৮)। সে চরওয়াপদা ইউনিয়নের নুরুল আমিনের ছেলে। চরজব্বর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশুটিও জবানবন্দি প্রদান করে।    

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে এক বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এর পর বসত ঘরে থাকা মা-মেয়েকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে ধষর্ণের এ ঘটনাটি ঘটে। মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫৫)। সে মামলার আরেক আসামি মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪৫) নিয়ে ওই নারীর ঘরে ঢুকে। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার পরপরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।    

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে গ্রেফতার সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান আসামি, মামলার আরেক আসামি হারুন এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও  ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায় আসামিরা। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।

তিনি আরও জানান, মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন জোগায়। মেহরাজ রাজি হলে সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সাথে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজানো হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ






কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আটক ৩
৯ মে ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪:৪১

ফুলবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
৯ মে ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:১২:৪৩