• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৯:৫২:৫৬ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৯:৫২:৫৬ (11-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নিজস্ব প্রযুক্তিতে লিফট তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করছেন ঈশ্বরদীর আমজাদ

২২ জানুয়ারী ২০২৪ দুপুর ০২:১৫:৪৫

নিজস্ব প্রযুক্তিতে লিফট তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করছেন ঈশ্বরদীর আমজাদ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: নিজস্ব প্রযুক্তিতে লিফট তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আমজাদ হোসেন। পেশায় তিনি ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান। নিজের তিনতলা ভবনে উঠানামার জন্য তিনি এ লিফট তৈরি করেন। এখন পরীক্ষামূলকভাবে তিনি লিফট ব্যবহার করছেন। আমজাদ হোসেন উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।

ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের ডাকবাংলোর সামনে দিয়ে চলাচলের পথে অনেক পথচারীকে আমজাদ হোসেনের লিফটের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ লিফট দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।

উদ্ভাবক আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমজাদ হোসেন পাবনা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে দুই বছরের ইলেকট্রিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে আইপিএস, চার্জার লাইট, বৈদ্যুতিক মোটর, ব্যাটারির চার্জার, ফ্রিজের ভোল্টেজ স্ট্যাবেলাইজারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রী তৈরি করছেন। এক সময় টিভি ও ফ্যান মেরামতের কাজও করেছেন। তিন বছর আগে ঈশ্বরদী পৌর শহরের ডাকবাংলোর সামনে এক শতক জমিতে ইলেকট্রিক সামগ্রী বেচা-কেনার জন্য একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন।

দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায় ওঠানামার জন্য ভবনের পেছন দিয়ে একটি সিঁড়ি রয়েছে। এ সিঁড়ি দিয়ে ক্রেতাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলায় ওঠানামা করতে অসুবিধা হয়। এছাড়া দোকানের মালামাল ওঠানো ও নামাতেও বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এ সমস্যা দূর করতে একটি লিফট তৈরির পরিকল্পনা করেন আমজাদ হোসেন। তবে শুরুতে বিষয়টি এত সহজ ছিল না। প্রায় তিন মাস লিফট তৈরির জন্য একটি কন্ট্রোল বক্স, এক টন ওজন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি গিয়ার বক্স, এক কিলোওয়াটের আইপিএস ও এক হর্স পাওয়ারের মোটর তৈরি করেন।

এরপর স্টিলের ওয়্যার, মেটাল স্ট্রাকচার ও কেবিনের জন্য একটি রিপ্লেকা গ্লাস দিয়ে লিফট তৈরির কাজ শুরু করেন ইলেকট্রিশিয়ান আমজাদ হোসেন। প্রায় তিন মাস প্রচেষ্টার পর দোকানের সামনে তিনতলায় ওঠানামার জন্য একটি লিফট তৈরি করতে সক্ষম হন।

আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ব্যবসায়ীক ভবনটি চারতলায় উন্নীত করা যাবে। এজন্য চারতলা পর্যন্ত ওঠানামার জন্য লিফট তৈরি করি। এখন লিফট দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় চলাচল করছি।

এ লিফটে উঠে একটি সুইচে চাপলে দ্বিতীয় তলায় ওঠা যাবে। সেখানে নামার প্রয়োজন না হলে আরেকটি সুইচ টিপে তৃতীয় তলায় ওঠা যাবে। একইভাবে আবার তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামতে হবে। একসঙ্গে তিনজনের বেশি এ লিফটে যাতায়াত করা যাবে না। একইসঙ্গে এক টন ওজনের মালামাল ওঠানামা করানো যাবে। বিদ্যুৎ না থাকলে লিফট চালাতে জেনারেটের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ লিফট আইপিএস দিয়ে চালানো যাবে।

এই লিফট তৈরিতে যেসব ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে তার সবই তৈরি করেছেন আমজাদ হোসেন। তবে এটি খুবই স্বল্প খরচে তৈরি করেছেন তিনি। চারতলা ভবনের একটি লিফট সংযুক্ত করতে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে তার খরচ হয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা।

আমজাদ হোসেন বলেন, এ লিফট আমি নিজের ব্যবহারের জন্য তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছি। এটি নিরাপদ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এখন এটিকে কীভাবে আরও আধুনিক করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।

তিনি বলেন, আমার উদ্ভাবিত স্বল্প খরচে নির্মিত এ লিফট যদি তিন ও চারতলা ভবনে ব্যবহারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করার অনুমতি সরকার আমাকে দেয় তাহলে যারা এ লিফট ব্যবহার করবে তারা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে এটি ব্যবহার করতে পারবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ