• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:৫৫:১১ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:৫৫:১১ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে নন্দকুঁজা নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

৫ নভেম্বর ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯:১২

চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে নন্দকুঁজা নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: গুরুদাসপুরের নন্দকুঁজা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য মো. আলমের বিরুদ্ধে। তারা নাজিরপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর হাট এলাকায় নন্দকুঁজা নদীর ভেতর তারা ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন। অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. আলম ওই ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

স্থানীয়রা বলছেন, আব্দুর রহিম পুরনো বালু ব্যবসায়ী। তিনি প্রতি বছর নন্দকুঁজা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করেন। এ বছর এই ব্যবসায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমকে যুক্ত করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের কাজে চারজন শ্রমিক নিয়োগ করেছেন তারা। ওই শ্রমিকদের দিয়ে বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বিক্রি করানো হচ্ছে। তাদের এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

৪ নভেম্বর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরপুর হাটের পূর্বপাশের বাঁশহাট সংলগ্ন নদীতে ড্রেজার বসানো হয়েছে। ড্রেজার দিয়ে উত্তোলিত বালু পাইপের মাধ্যমে প্রস্তাবিত আনোয়ার হোসেন ক্লিনিকের ফাঁকা স্থানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখান থেকেই বিক্রি করা হয় এসব বালু।

বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে আব্দুর রহিম বলেন, মাদরাসায় বালু বিক্রির জন্য আইয়ুব চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের ভাই নজরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মো. আলম তার ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিনটি তার। সব ঠিক রেখেই তারা বালু উত্তোলন করছেন।

চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, মূলত ৭ টাকা সেপ্টি দরে একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় বালু বিক্রির কথা বলে আব্দুর রহিম নদীতে ড্রেজার বসিয়েছেন। তবে রহিমের সাথে বালু উত্তোলন বা ব্যবসায় তিনি যুক্ত নন।

এ প্রসঙ্গে বিএডিসির প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে অদূর ভবিষতে নদী ভাঙ্গন, নাব্য সংকটসহ নানমুখী প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, শুক্রবার অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ