• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:০১:১৮ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বিকাল ০৪:০১:১৮ (10-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ জন শিক্ষক!

৩১ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ০৯:৪৪:৫৭

৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ জন শিক্ষক!

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের উত্তর শিবনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ তলা একটি ভবন থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই একেবারেই। বিদ্যালয়টিতে কাগজ-কলমে ৬৯ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে উপস্থিতি দেখা গেছে ২-৩ জন শিক্ষার্থীর। ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরহাদুল ইসলাম। ১৯৯৩ সাথে যোগদানের পর গত ৩০ বছড় ধরে তিনি একই বিদ্যালয়ে আছেন। কাগজ কলমে প্রথম শ্রেণিতে ১৩ জন, ২য় শ্রেণিতে ১২ জন, ৩য় শ্রেণিতে ১৮ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৮ জন এবং ৫ম শ্রেণিতে ৯ জন ছাত্র-ছাত্রীসহ মোট ৬৯ জন শিক্ষার্থীর একটি তালিকা দেখান প্রধান শিক্ষক। বাস্তবে শ্রেণিকক্ষ ঘুরে-ঘুরে প্রথমে ১ জনের উপস্থিতি দেখা যায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে আরও ২ জন শিক্ষার্থীকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসেন শিক্ষকরা। সর্বশেষ পুরো বিদ্যালয় মিলে ৩ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ফরহাদুল ইসলাম জানান, আমি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থী বাড়ানোরও চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী না আসলে আমি কী করব? বিদ্যালয়ের সভাপতির নাম জানতে চাইলে এবং মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মোট ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন।

বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ক্লাস রুমের ব্লাকবোর্ডে ১১/০৯/২০২৩ এর ক্লাস নেয়ার তারিখ লেখা রয়েছে এরপর ক্লাস হয়েছে কিনা কোন শিক্ষক সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। শিক্ষার্থীদের এমন উপস্থিতির কারণ হিসাবে পুজার ছুটিকে দায়ী করেন শিক্ষকবৃন্দ। তারা বলেন, পুজার ছুটি হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত আসেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার মান ভালো না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না এবং অভিভাবকরাও বাচ্চাদের পাঠাতে চায় না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ স্কুলটিতে ৭-৮ জনে বেমি শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে না। অথচ ঐ স্কুলটিতে উপবৃত্তি দেয়া হয় প্রায় ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে। প্রশ্ন উঠেছে স্কুলে না এসে উপবৃত্তির টাকা কীভাবে পায় শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম শরীফুল হকের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। আমরা এটি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ