• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:০০:২৯ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১ রাত ০৩:০০:২৯ (12-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নবজাতককে নদীতে ছুড়ে হত্যা: পিতা গ্রেফতার

৩০ অক্টোবর ২০২৩ বিকাল ০৪:২১:৫৩

নবজাতককে নদীতে ছুড়ে হত্যা: পিতা গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: তিস্তা ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে নবজাতক পুত্র সন্তানকে হত্যার দায়ে ঘাতক পিতা লাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ অক্টোবর বিকেলে তিস্তা ব্রিজ এলাকায়।

পুলিশ জানায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকায় লালমিয়া ছামিরন দম্পতির গত ৩ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। লাল মিয়ার পরিবারে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ তেতুলতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। এর মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে ছমিরনের স্বামী পুত্র সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করে আসছিলো। এ অবস্থায় স্ত্রী ছামিরন প্রতিবাদ করলে ২৭ অক্টোবর বিকেলে স্বামী লাল মিয়া পূর্বপরিকল্পিতভাবে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পরে ঐদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে স্বামী লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে মোটরসাইকেল থামায়। এক পর্যায়ে ছামিরন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাল মিয়া আকস্মিকভাবে নবজাতককে তার কোল হতে ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে রংপুরে পালিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, পরে ছামিরনের আর্তনাদ ও কান্নাকাটিতে পথচারীরা জরো হয়। উপস্থিত লোকজন কাউনিয়া ফায়ায় সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুজি করেও নবজাতকের কোনো সন্ধান পায়নি।

পরদিন শনিবার স্বামী লাল মিয়াকে ফোন করে বাসায় আসতে বলে ছমিরন। লাল মিয়া বাসায় এলে ৯৯৯ এ কল করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কচাকাটা থানা পুলিশ লাল মিয়াকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি আদালতে হাজির হয়ে সমস্ত ঘটনার বর্ণনা ও সত্যতা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দী দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন বলেন, পিতা তার নবজাতক পুত্র সন্তানকে হত্যা করেছে, এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় গত ২৯ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ঘাতক পিতা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ