ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ফটিকছড়ির পাইন্দং গ্রাম হতে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় নববধূর মৃত্যু নিয়ে ধুব্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর পর পরেই স্বামীসহ গৃহের সকল লোক পালিয়ে যাওয়ায়। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।
উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের বদু তালুকদার বাড়িতে তাসনুভা আক্তার চাঁদনী (২০) নামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে মৃতের খালা নাছিমা আকতার মনি, মামা সুজন, সানিম, আকিব, মহিলা গ্রাম পুলিশ নাহারুল নুরী ও প্রতিবেশী মাওলানা মোজাম্মেল হোসেনের উপস্থিতিতেই নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
মরদেহের সুরতহাল নির্ণয়ে দু,চোখ সামান্য খোলা এবং পায়খানার রাস্তায় মল দেখা গেছে। শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন বা গুরুতর আঘাত পাওয়া যায়নি। তাই এটি কি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা। এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হতে ফরেনসিক রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্ত প্রয়োজন।
নিহতের মামা সানিম বলেন, চাঁদনীর মৃত্যু কোনো আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। তার মরদেহে যে চিহ্নগুলো দেখা গেছে, তা আমাদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মেয়ে কেন হঠাৎ করে আত্মহত্যা করবে? আমরা পরিবার হিসেবে মনে করি, তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি ন্যায়ের পক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা আইনি পথে এগোতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি মামলা) রুজু করে নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠিয়েছি। পরিবারের বক্তব্য আমরা গুরুত্বসহকারে নিচ্ছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি ভিন্ন কোনো আলামত পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available