• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১১:৩৪:৩৭ (30-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১১:৩৪:৩৭ (30-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নিকাব না খোলায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:৫১:৫৪

নিকাব না খোলায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় হলরুমে নিকাব না খোলায় পরীক্ষা দিতে না পারার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) এর সমাজতত্ত্ব পরীক্ষার দিন এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব কামাল হোসেন মজুমদারকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থী। বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে খাগড়াছড়ি কওমি মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কতিপয় শিক্ষক আঞ্জুমানারাকে হেনস্তা ও পর্দার বিধানকে অবমাননার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা সময় মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মাটিরাঙা ডিগ্রি কলেজ অভিমুখে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে এ সংগঠনসহ একাধিক ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন।

পার্বত্য নারী সংহতির আহ্বায়ক শাহেনা আক্তার ও সদস্য সচিব তানজিলা সুলতানা রুমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শনিবার দুপুরে বলেন, শিক্ষার্থীর প্রতি অমানবিক ও বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুবিচার করতে হবে।

বাউবি ২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে আন্জুমানয়ারা অভিযোগ করে বলেন, বেলা ২টার দিকে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কলেজের শিক্ষকেরা আমার নিকাব খুলে মুখ দেখানোর জন্য বলে। একজন নারী শিক্ষক বা নারী শিক্ষার্থীর সামনে স্কুল খোলার ইচ্ছে পোষণ করে শিক্ষকদের অনুরোধ করি। কিন্তু শিক্ষকরা আমার অনুরোধে সায় দেয়নি বরং আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছিল। এসময় হলের অন্য শিক্ষার্থীরা আমার পরিচয় নিশ্চিত করে। তারপরও অধ্যক্ষ এসে আমাকে নিকাব খোলার জন্য বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমার পরীক্ষার খাতা নিয়ে নেয় এবং বহিষ্কার করা হবে হুমকি দেন অধ্যক্ষ। পুলিশ ডেকে আমাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। পরে আমি পুলিশের হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করি। এরপর মাটিরাঙা থানা থেকে পুলিশ আসে। পুলিশ ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে আমার পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। তখনো ১ ঘণ্টার বেশি পরীক্ষার সময় ছিল। এসময় অধ্যক্ষ পুলিশ নিয়ে তার কক্ষে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ থেকে ২০ মিনিট আগে অধ্যক্ষ তার রুম থেকে বের হয়ে মহিলা পুলিশ দিয়ে আমার পরিচয় নিশ্চিত হয়। ততক্ষণে আমার পরীক্ষার সময় শেষ।

উম্মে আন্জুমানয়ারা আরও বলেন, আমি কোনো অসদুপায় অবলম্বন করি নাই, খারাপ ব্যবহারও করি নাই। তারপরও আমার সাথে অন্যায় হয়েছে। আমি পরীক্ষা দিতে পারি নাই। আমি এর প্রতিকার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামাল হোসেন মজুমদার বলেন, পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী প্রবেশ পত্রে যে ছবি তা দেখে পরীক্ষা নিতে হবে। শিক্ষকরা তাকে অনুরোধ করে নিকাব খোলার জন্য। আমি পুলিশকে মহিলা পুলিশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি, কিন্তু সেভাবে রেসপন্স পাইনি। পরে ওই শিক্ষার্থী ৯৯৯ ফোন করায় মহিলা পুলিশ আসে। শেষ মুহূর্তে মহিলা পুলিশ এসে ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করে। কেউ যদি আমাকে ফাঁসাতে চায় তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমাকে বদলি কবরে, আমি একপায়ে রাজি। আমি চলে যেতে চাই।

মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়েছি যে একটা মেয়েকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। এরপর আমরা কলেজে যাই। পরে প্রিন্সিপাল আমাদেরকে জানালো তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

দাম কমলো জ্বালানি তেলের
৩০ এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৯:৩৬:৩৩





প্রকৃত রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৩০ এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৮:০৯:৩৯




শ্রীপুরে বসতবাড়ি ভেঙে সরকারি জমি দখল
৩০ এপ্রিল ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬:৫১