আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের সেনাবাহিনীর সব আঞ্চলিক প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল হতে পারে।
১১ আগস্ট শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘুষ গ্রহণ, মানবপাচার, সহায়তার অস্ত্র ও ত্রাণ সহায়তার সামগ্রী চোরাই পথে বিক্রি ও অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৩০ জনেরও বেশি সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা সবাই বিভিন্ন শাখার আঞ্চলিক রিক্রুটমেন্ট কেন্দ্রগুলোর প্রধান। শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মাসে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেসায় সেনা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এ বিষয়ক একটি তদন্ত শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল। এক মাসের তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও অপরাধমূলক তৎপরতা সংক্রান্ত ১১২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখার বিরুদ্ধে।
বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর সব আঞ্চলিক প্রধানকে বরখাস্ত করেছি। কেননা, এই কাঠামোটি এমন সব মানুষের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত, যাঁরা জানেন যুদ্ধটা প্রকৃতপক্ষে কী, আর যুদ্ধের এই সময় স্বার্থপরতা ও ঘুষ আদান–প্রদান কেন বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহ।’
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনে যেসব সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিল, তার মধ্যে দুর্নীতি দমন একটি। জেলেনস্কির এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দমনে কিয়েভের প্রচেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available