ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের পাঁচপীড় ডাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় ঘটনাস্থল থেকেই দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছে আরও কয়েকজন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ১০ মে শনিবার কবরস্থান পরিষ্কারের সময় গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা অন্তত ১০ থেকে ১২টি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে কবরস্থানের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা ধাওয়া করে মো. আজিজুল ইসলাম (৩২) ও মোছা. রিনা বেগম (৩৫) নামের দুজনকে আটক করে।
আটক দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কঙ্কাল চুরির কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কবর খুঁড়ে কঙ্কাল ও হাড়গোড় সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যেই তারা এইসব কাজ করে। ওইদিনও নতুন করে চুরির উদ্দেশ্যেই তারা কবরস্থানে এসেছিলেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘আমার চাচাসহ আত্মীয়স্বজনদের কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এমন জঘন্য ঘটনা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে।’
ঘটনার সময় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আটক দুজনকে মারধর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সরোয়ারে আলম খান বলেন, ‘আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে।’
পলাতক হলো, সালন্দর পাঁচপীড় ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ ছেলে মো. আরিফ (৩৫) ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাই থানার কিরন বাজারের শহিদুল ইসলাম (৪৫)।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামসুল হক বলেন, ‘ঘটনার পূর্ণ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হবে।’ রোববার গ্রেফতারদের ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available